গণপ্রহরী রিপোর্ট : বিমানবন্দরে আগুণ, জ্বলছে কার্গো ভিলেজ। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আকাশ ছেয়ে গেছে কালো ধোয়ায়। আজ শনিবার 18 অক্টোবর দুপুর আড়াইটর (2:30) দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ২ প্লাটুন বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট, সিভিল অ্যাভিয়েশন, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনী। গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।
তিনি জানান, “বিমানবন্দরের ভেতরে ৮ নম্বর গেটের কাছে স্কাই ক্যাপিটাল-এর অফিস ও ইম্পোর্ট কার্গো এরিয়ায় আগুন লেগেছে। দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি ইউনিট কাজ করছে”।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতি সূত্রে জানা গেছে, “সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে তদন্ত শুরু করেছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সবাইকে নিরাপদ ও সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছে এবং জানিয়েছে যে, প্রাথমিক তদন্ত শেষে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে”।
বিমানবন্দরের সিঅ্যান্ডএফের (কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং) এক কর্মচারী গণমাধ্যমকে বলেন, “কার্গোর সকল কাপড়চোপড় ও কেমিক্যাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে। আগামী দুই-তিন মাস হয়তো আমরা কোনো কাজই করতে পারব না”।
বিমানবন্দরের পরিচালক ফয়সাল সামাদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কার্গো ভিলেজে বিজিএমই’র গোডাউনটি বড় ধরণের ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে।
বিমানবন্দরের সাময়িকভাবে সকল ফ্লাইট অবতরণ ও ওঠা-নামা বন্ধ । তবে নির্ধরিত বিমানসমূহ শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিবর্তে চট্টগ্রাম, সিলেটে বিমানবন্দরে অবতরণ করছে। ইতিমধ্যে ৮টি বিমান চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ও একটি বিমান সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
এখনো আগুণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কেউই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগুণ পাইপ লাইনে যদি প্রবেশ করে তাহলে পুরো পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
গণপ্রহরী পরিবার কামনা করছে, আগুন পাইপ লাইনে আশার আগেই যেন নিয়ন্ত্রণ হয়ে যায়।
ফায়ার ফাইটারসহ ৭ জন আহত।


