বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য নজমুল হক নান্নু ও শহীদ খন্দকার টুকু
স্টাফ রিপোর্টার : একাধিক অস্ত্রোপচারসহ দীর্ঘ সময় দেশ-বিদেশে চিকিৎসার পরও দীর্ঘদিন থেকে কিডনি, প্রস্টেটগ্লান্ড, হার্ট ও রক্তচাপসহ অন্যান্য ঔষধ নির্ভর চিকিৎসাধীন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণপ্রহরীর প্রধান সম্পাদক-প্রকাশক এসকে মজিদ মুকুল হঠাৎ করে বেশী অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এ খবর পেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ষাট দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা-পূর্ববাংলা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, লেখক ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি এবং অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধাকে তার ছাত্র রাজনীতিতে এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণাকারী বিজ্ঞ অ্যাডভোকেট একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিপ্লবী মুক্তিযোদ্ধা নজমুল হক নান্নু গত ২৯ জুন রোববার মুক্তিযুদ্ধে সাহসী ভূমিকা পালনকারী তরুণ মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, কণ্ঠশিল্পী, কেএনএস কানাডা’ এর চেয়ারম্যান ও সিইও, কানাডা প্রবাসী শহীদ খন্দকার টুকুকে সাথে নিয়ে প্রধান সম্পাদককে দেখতে যাত্রাবাড়ী থানা এলাকাধীন দনিয়া এলাকাস্থ সাধারণ পরিবেশের ভাড়া বাসায় আসেন।
জনাব নজমুল হক নান্নু ও শহীদ খন্দকার টুকুর আগমনে গণপ্রহরী সম্পাদক ফাতেমা মজিদ জুইঁ ও তার সহকারি সাংবাদিক কেএস মৌসুমী অতিথিদের স্বাগত জানান। একাত্তরের রণাঙ্গনের সাথী অতিথিদের পেয়ে গণপ্রহরীর অসুস্থ্য প্রধান সম্পাদক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ও দুজনকেই জড়িয়ে ধরেন। বেশ কিছু সময় ধরে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এবং পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু আলোচনায় স্থান পায়।

অতিথিদ্বয় গণপ্রহরীর পরিবারের আতিথিয়তায় মুগ্ধ হন এবং তাঁদের আত্মার সম্পর্কীয় সাথী এসকে মজিদ মুকুলকে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে পরামর্শ দেন। ‘কেএনএস কানাডা’ এর চেয়ারম্যান ও সিইও জনাব টুকু পত্রিকাকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে কিছু লেখার বিষয় পরামর্শ দেন। বিদায় লগ্নে অতিথিদ্বয়ের পক্ষে বিজ্ঞ এডভোকেট নজমুল হক নান্নু বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মুকুল ভাই ও গণপ্রহরীর সাথে আছি ও থাকবো। আমরাতো সাবই বিপ্লবী মুক্তিযোদ্ধা। সাবই সবার সুস্থ্যতা কামনা করি এবং সকলেই সুস্থ্য থাকবেন। গণপ্রহরী তার লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে চলুক সামন থেকে আরও সামনে।
পরিশেষে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই নজমুল হক নান্নু ও শহীদ খন্দকার টুকু ভাইকে তাদের আন্তরিকতা ও অমায়িক ব্যবহারের জন্য। জ্ঞানী-গুনী ও উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি হয়ে সাধারণ পরিবেশে এসে প্রথম পরিচয়েই সবাইকে আপন করে নেয়া, হাশি-খুশীভাবে কথা বলা এবং একটি ভালো ও অনুপ্রেরণাদায়ক মুহুর্ত উপহার দেওয়ার জন্য আবারো আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ শহীদ খন্দকার টুকুকেু এবং সেই সাথে ধন্যবাদ নজমুল হক নান্নুকে যিনি এই সুন্দর মুহুর্তটির আয়োজক।
অতিথিদ্বয়ের আচার-আচরণে ও বিণয়ী কথাবার্তায় সৃষ্ট সুন্দর মুহুর্তটি অনুপ্রেরণাদায়ক।
