এক নজরে
গণপ্রহরী ডেস্ক থেকে
এক নজরে -একটু বিলম্বেও সন্তুষ্ট

এক নজরে গণপ্রহরীর ডেস্ক থেকে কিছু খবর যানা যাক: জীবনকে গুলির মুখে সমর্পণ করেই ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যূত্থানের ফলশ্রুতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ছাত্ররাই শুরু করেছে। বিজয় অর্জন করেছে ছাত্রজনতা। এখন ছাত্ররা মাঠে-ময়দানে-রাজপথে। ছাত্রদের মধ্যে ছিল সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ-বিশ^বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসাসহ কারিগরি ও বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বা বেতন মওকুফের ঘোষণার ক্ষেত্রে ‘একটু বিলম্বেও সন্তুষ্ট’ প্রকাশ পেয়েছে ছাত্রজনতার মধ্যে।
আহত শিক্ষার্থীরা চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রসহ যার যার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বরাবরে আবদেন করলে তা যাচাই সাপেক্ষে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি অর্থাৎ বেতন মওকুফের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। টিউশন ফি বা বেতন মওকুফের খবর প্রকাশের পর শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জনগণ সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেছেন, তারা এটা আগেই আশা করেছিলেন। তবে একটু বিলম্বেও সন্তুষ্ট তাঁরা।
এক নজরে- অবশেষে পদত্যাগ দুদকের

পতিত স্বৈরাচারের আজ্ঞাবহ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, কমিশনার, পরিচালকরা কর্মরত ছিলেন বটে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গনমাধ্যমে তাদের কার্যক্রম দুরভিসন্ধি মূলক মর্মে খবর ও প্রতিবেদনে মতামত স্থান পায়। দাবি ওঠে তাদের অপসারণের।
ছাত্রজনতার গণঅভ্যূত্থান সাংবিধানিক পন্থায় না হলেও সংবিধান প্রদত্ত ‘রাষ্ট্রের মালিক জনগণ’ এ ভিত্তিতে হয়েছে গণঅভ্যূত্থান। তারপরও সংবিধানের দোহাই দিয়ে ‘অপসারণ’ করা হয় না। অপসারণ না করলেও অবশেষে পদত্যাগ দুদকের।
যদিও আগাগোরাই গণআন্দোলন গণঅভ্যূত্থান ও বিপ্লব প্রাসঙ্গিক ইতিহাসের আলোকে গণআন্দোলন বিশ্লেষকরা অনেকেই বলেছেন-শুধু দুদক নয়, স্বাধীন স্বত্বা নিয়ে চলা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সমূহেও অপসারণ করা অতীব জরুরী। অন্যথায়, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠবে। এবং অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জও হয়ে দাড়াতে পারে ইত্যাদি নানা মত। আলোচনা-সামলোচনা যতই ছোট এবং হতেই থাক। তবে আপাত দৃষ্টে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন আবদুল্লাহ পদত্যাগ করেছেন। আর তার পদত্যাগের পাশাপাশি দুদক কমিশনারদের মধ্যে কমিশনার মোছা. আছিয়া খাতুন ও কমিশনার জহরুল হক প্রমুখ পদত্যাগ করেন।
এ নিয়ে আলোচনায় স্থান পেয়েছে দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে, এক্ষেত্রে অপসারণ করার দাবি এ মুহুর্তে থেমে গেলো। ‘অবশেষে পদত্যাগ দুদকে’ এর মতই অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও হবে বলে সাধারণ মানুষের ধারণা।
এক নজরে- মার্কিনের ‘বিশ্বাস’ কি বিশ্বাসযোগ্য

এখনও পরীক্ষিত সত্য হচ্ছে বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মার্কিন যুক্তরারাষ্ট্র এক নম্বরে। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়ও এক নম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্ সামজতন্ত্রীদের ভাষায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বলা হয় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ।
সেই সাম্রাজ্যবাদী মার্কিনের ‘বিশ্বাস’ কি বিশ্বাসযোগ্য? যে বিশ্বাসের ‘কথা’ যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন। স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়ম অনুযায়ী ২৮ অক্টোবর সোমবার ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। সেই ব্রিফিংয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পক্ষে বাংলাদেশ বিষয়ক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের, উত্তর দেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেছেন, আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) বিশ্বাস করি, শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশে^র যে কোনো দেশে যে প্রক্রিয়ায় যেভাবে হোক ‘বৈষম্যের বিরোধীতা করবেন’ বলে জানিয়েছেন। ম্যাথিউ মিলারের কথায় মার্কিনের বিশ্বাস কি বিশ্বাসযোগ্য? বাংলাদেশের গণামাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিং বিষয়ক খবরে যে কোন বৈষম্যের বিরোধীতা করা’র ম্যাথিউ মিলারের উক্তি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে সামলোচনা।
সমালোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাস্ত্র দেওয়াসহ সব রকম সহযোগীতায় ইসরায়েল ফিলিস্তিনীদের উপর মানুষ হত্যাসহ যে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তাতে বৈষম্য বিরোধী ভূমিকা পালন করছে কি যুক্তরাষ্ট্র। জনগণ তা মনে করেনা। বরং পরস্পর পরস্পরকে প্রশ্ন করছেন, মার্কিনের বিশ্বাস কি বিশ্বাসযোগ্য? না-কি বিশ্ব নেতৃত্ব ধরে রাখার জন্য সাজানো উক্তি; না-কি তামাশা করে বলা-এমন নানান কথা। তবে এটা ঠিক যে, বাংলাদশের মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর জোর দিয়েছেন ম্যাথিউ মিলার তা বক্তব্যে।
এক নজরে- ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম দায়িত্বশীল উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষে বলেছেন, আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে আমরা সচেষ্ট।
সেই দায়িত্ব পালনের পথে আমাদের ভুলত্রুটি বা ভুলবশত অথবা কোন ষড়যন্ত্রের শিকার হিসেবে দুর্নীত হলে তা প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছন। তিনি বলেছেন, আমাদের চলার পথ সুগম করতে, আমাদের ‘ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিন’। তাহলে আমরা সংশোধন হয়ে বা ভুলত্রুটি শোধরিয়ে সচেতনভাবে অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে পালন করতে পারবো।
গত ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুরান ঢাকায় অবস্থিত আগেকার (পুরোনো) ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার পরিদর্শনকালে দুর্নীতি বা ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া বিষয়ে এসব কথা বলেছেন। তবে তিনি বিনয়ের সাথে বলেছেন, আমদের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার ছলে এমন কথা বলবেন না, যেটা করলে ভুল হয় বা হবে অর্থাৎ যেখানে ভুল হয়, সেটা করবেন না। বরং আবারো বলবো আমাদের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিন।
