সৈয়দ নুরুল আলম জাহাঙ্গীর : গাইবান্ধা জেলায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পৌরআইন বাস্তবায়ন জরুরী। কেননা বর্জ্যরে স্তুপ থেকে দ্রুত রোগ জীবানু ছড়িয়ে পড়ে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। যদিও জেলা প্রশাসক, গাইবান্ধা চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ গাইবান্ধা পৌর এলাকার ঘাঘট লেক পরিদর্শনকালে লেকের দু’পার আবর্জনামুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর অফিস ও বাসভবন দুটোই গাইবান্ধা পৌরসভা এলাকায়। সেহেতু গাইবান্ধা পৌরসভাসহ জেলার পৌরসভা সমূহে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পৌরআইন বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন, পৌরবাসী তা আশা করেন।
গাইবান্ধা জেলায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পৌর আইন বাস্তবায়ন জরুরী শীর্ষক আজকের এই প্রতিবেদনে গাইবান্ধা পৌরসভা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে নিষ্ক্রিয় হয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। ফলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে দ্রুত আইন প্রয়োগ করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড মহল্লায় স্থাপিত পৌরসভার স্থায়ী ও অস্থায়ী ডাষ্টবিন গুলি অকেজো হয়ে পড়ায় পৌরবাসী তাদের গৃহস্থালী বর্জ্য পৌর রাস্তার ধারে জমা করে রাখছে, সেসব পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নিয়ে গিয়ে পৌরসভার আবর্জনা পরিবহনের গাড়ীতে করে আবর্জনার ভাগারে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয়। সম্প্রতি আবর্জনার সে ভাগারটিও ভরাট হওয়ায় বিপাকে পড়েছে পৌরকতৃপক্ষ। এর ফলে গাইবান্ধা পৌর শহরে বিভিন্ন বাড়ীর গৃহাস্থলী বর্জ্য অনেকেই তার বাড়ী সংলগ্ন পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে দেয় বা জমা করে রাখে। বাসাবাড়ীর পাশেই জমিয়ে রাখা সে সব গৃহাস্থলী বর্জ্য পচেঁ গিয়ে বায়ু দূষণ করছে। ফলে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় রয়েছেন পৌরবাসী।
এসব বর্জ্য জমিয়ে রাখা লোকজন প্রতিবেশীর নিষেধ শোনেনা বরং নিষেধ করলে উচ্যবাচ্য করে পেশি শক্তি প্রদর্শন করেন। মানুষ অপমানিত হওয়ার ভয়ে সেসব অসামাজিক লোকজনের সাথে বিতর্কে যেতে চাননা। পৌরসভার বিভিন্ন প্রান্তে বায়ু দূষণকারী এসব লোকজনের সাথে স্থানীয়দের ঝগড়া-বিবাধ ছাড়াও হাতাহাতি মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। পৌরসভার বিভিন্ন পরিসরে বসবাসকারী অধিবাসীরা জানায়, গাইবান্ধা শহরকে পরিচ্ছন্ন ও দুষণমূক্ত করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এসব উচ্চাভীলাষী দাপুটে ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
দুষণমূক্ত পৌরসভা গড়ার অন্তরায় এসব নাগরিক, আইনের কঠোর অনুশাসনও মানতে চায়না। পড়শীকে রক্তচক্ষু দেখিয়ে বাসাবাড়ীর আশে পাশে দুর্গন্ধের ভাগার তৈরী করছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পৌর অধিবাসীরা। তারা জানান, অবিলম্বে একটি নোটিশ জারী করে মহল্লায় মহল্লায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করে আইন প্রয়োড় করা জরুরী হয়ে পড়েছে। গৃহাস্থলী বর্জ্য যেখানে সেখানে জমিয়ে রেখে আবাসিক এলাকাগুলির পরিবেশ দুষণ করছে এক শ্রেনীর পৌরনাগরিক। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে একটি পরিচ্ছন্ন দূষণমূক্ত পৌরসভা গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন গাইবান্ধার পৌর নাগরিকরা।
