গণপ্রহরী ডেস্ক:চিলমারী ও খানসামায় কুকুররে কামড়ে আহত ৪৯। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কুকুরের উপদ্রবে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে ও দিনাজপুর জেলার খানসামায় কুকুরের কামড়ে ৪৯ জন আহত হয়েছেন। তন্মধ্যে ১৪ অক্টোবর সোমবার একদিনেই চিলমারীতে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ১৫ জন। খানসামায় ১২ অক্টোবর শনিবার ও ১৩ অক্টোবর রোববার একদিনের ব্যবধানে কুকুরের কামড়ে আহত ৩৪ জন। তবে আহতের সংখ্যানুপাতে ভেকসিন সরবরাহ করতে পারেনি বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
চিলমারী থেকে আমাদের সংবাদদাতা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যসূত্র উদ্বৃত করে জানিয়েছেন, ১৪ তারিখ সোমবার দুপুরের পর থেকে হঠাৎ করে চিলমারীর রমনা স্টেশন ও বালাবাড়িসহ বেশ কিছু এলাকায় কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে এসেছেন, , বিজু মিয়া (১২), মাহমুদা (৩৫), সামিউল (১০), সজিব রানা (২৪), সায়মা (১০), আলামিন (৯), তানজিরুল (১৮), মঞ্জুরুল (২০), রাসেল (২৫), আশিক (২৪), হোসাইন (২১), রহিমা (৩০), সিফাত (২), আফরিনা (৫), সাজিদ (৮)। এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে আক্রান্তদের স্বজনদের ক’জন জানিয়েছেন, হাসপাতালে প্রতষেধক না থাকায় ব্যবস্থাপত্র লিখে দেওয়া হচ্ছে। যা দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন। চিলমারী ও খানসামায় কুকুররে কামড়ে আহত ৪৯ এর মধ্যে অনেকে ভ্যাকসিন পেয়েছেন আবার অনেকে পাননি।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা মঞ্জুর-এ মোর্শেদ বলেন, চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিষেধক নেই, তবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রতিষেধক পৌঁছবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
খানসামা থেকে সংবাদদাতাঃ
খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র উদ্বৃত করে জানিয়েছেন, গত শনি ও রবিবার উপজেলার পাকেরহাট আজগার মেম্বার পাড়া ও ছাগলহাটি এলাকায় কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ৩৪ জন আহত হয়। এ ছাড়া কুকুর কামড় দিয়েছে বেশ কয়েকটি গরু-ছাগলকে। আহতদের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে সরকারি ভ্যাকসিন না থাকায় রোগীদেরই ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার দুপুরে আজগার মেম্বারপাড়া এলাকায় একটি শিশুকে প্রথম কামড় দেয় কুকুরটি। পরে একে একে ৩৪ জনকে মানুষ ও কয়েকটি গরু-ছাগলকে কামড় দিয়েছে। পরে সেই কুকুরকে আটক করার জন্য এলাকাবাসী জোড় চেষ্টা চালায়। অবশেষে গত রবিবার রাতে কুকুরটিকে আটক করতে সক্ষম হয় এলাকাবাসী।
কুকুরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়া বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি জানার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কুকুর নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সহযোগিতায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে সচেতন মহল মনে করেন, দেশের সকল হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহে জনস্বার্থে এসব ভ্যাকসিন রাখা আবশ্যক।
