গণপ্রহরী ডেস্ক : ডা. রাজিবুল ইসলাম চিকিৎসা ক্ষেত্রে সততার উদাহরণ। যে সততা প্রমাণের জন্য রয়েছেন, পতিত স্বৈরাচার ও তাদের দোসররা বাদে দেশের আপামর মানুষ। যে সততার মধ্যে রয়েছে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যূত্থান প্রতিরোধে স্বৈরাচারের ববোরচিত হত্যাকান্ডের প্রমাণ। সেও, আবার গণঅভ্যূত্থানের বিজয়কে ছিনিয়ে আনার পথপ্রদর্শক কেন্দ্রিক। সর্বজন স্বীকৃত যে, ইতিহাসে-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর্যায় ক্রমিক কর্মসূচীর বর্ণনা থাকবে। সেখানেই থাকবে আন্দোলনের সঠিকতা প্রমাণের-বিজয় ছিনিয়ে আনার ক্ষেত্রে আত্মবলিদানকারী বীর পথ প্রদর্শকের নাম। এ সবই ইতিহাসের আলোচিতব্য বিষয়।
কিন্তু যে পথ প্রদর্শক নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে কাঙ্খিত বিজয় অর্জনের পথকে করেছেন প্রশস্ত। অথচ সেই বিজয়ের পথও সংবিধানের ‘গ্যাঁড়াকলে’ জনআকাঙ্খা পূরণের পরও সংকটাপন্ন। সেই সংবিধান ও সংবিধানকেন্দ্রিক আইন কানুন চায় জীবনদানের প্রমাণ। কিন্তু সাংবিধানিক বাধা-বিপত্তি ও শৃঙ্খলা ডা. রাজিবুল ইসলামকে থামাতে পরেনি; সত্য প্রমাণের পথ থেকে।
শহীদ পথ প্রদর্শকের আত্মত্যাগকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টো ও ক্ষমতার অপব্যবহার কম হয়নি। ক্ষমতার অপব্যবহার করার মধ্যে দিয়ে যত অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। সে সব অপচেষ্টার বিস্তৃত জাল ছিঁড়ে সত্যতা বেড় করে এনেছেন ডা. রাজিবুল ইসলাম।
আর এই সত্যতা বেড় করতে জীবন নাশের হুমকি সহ নানাবিধ ভয়ভীতি প্রদর্শনকে উপেক্ষা করতে ডা. রাজিবুল ইসলামকেও নিজের জীবন বাজী ধরতে হয়েছে। যা সেবা ও সততার ক্ষেত্রে উদাহরনই বটে। নিজের জীবন উৎসর্গ করতে স্বীকৃত থেকেই চিকিৎসাশাস্ত্র ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে গুলি করে হত্যা করাকে প্রমাণ করেছেন রংপুরের সন্তান ডা. রাজিবুল ইসলাম।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যূত্থানের বিজয় অর্জনের পথ প্রদশর্ক শহীদ আবু সাঈদকে গুলি করে তাঁর বুক ঝাঁঝড়া করেই শেখ হাসিনার নির্দেশিত পুলিশ তাঁকে হত্যা করেছে। হত্যার ঘটনাকে ডা. রাজিবুল ইসলাম সত্য প্রমাণ করেছেন।

রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. রাজিবুল ইসলাম ব্যক্ত করেছেন সেবার মহান ব্রত নিয়ে চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশুনা করেই চিকিৎসক হয়েছেন। যথাযথ সেবার ক্ষেত্রে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অবহেলা বা মিথ্যার আশ্রয় নেয়া শুধু সততাকে পাশ কাটানো নয়, অপরাধও। সেবা ও সততা দুটোই চিকিৎসকের কাছে মানুষের কাম্য। তিনি এ পথে ও এ মানসিকতায় অবিচল থাকবেন- এমন আশাবাদ সকলের এবং সকল চিকিৎসকের প্রতি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অগ্রনী সৈনিক বেগমরোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের আত্তত্যাগকে স্বার্থক করতে ভ’মিকা পালন প্রশংসিত ডা. রাজিবুল ইসলাম চিকিৎসাক্ষেত্রে সততার উদাহরণ।
পরিশেষে, যাঁকে গুলি করে হত্যা করা প্রমাণ করেছেন ডা. রাজিবুল। তিনি ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। এবং রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের কৃতি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। রংপুরের এই কৃতি সন্তান শহীদ আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট নং -১ এ পুলিশের গুলিতে নিহত হন। আন্দোলনের পথ হয় প্রশস্ত। সেই পথ ধরেই ৫ আগস্টের সকল গণঅভ্যূত্থান। পথ প্রশস্তকারী বীর শহীদের আত্মার শান্তি কামনার সাথে শহীদ সাঈদের মতো বীর সন্তান জন্ম হোক বাংলাদেশের ঘরে ঘরে। সকল শহীদের আত্মত্যাগ স্বার্থক হোক।
