ঠাকুরগাঁও থেকে সংবাদদাতা : আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাস আলমগীর বলেন, দেশকে এখন কেউ যাতে বিভক্ত করতে না পারে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা সুযোগ পেয়েছি। সে জন্য আমি সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ সকল বাহিনীকে অনুরোধ করতে চাই- আসুন আমরা এই সুযোগটি কাজে লাগাই। আবারও সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশ গড়ব।
সোমবার ২২ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার শিবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে বিকেলের এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণকে বোকা বানিয়ে তিনটি নির্বাচনে জোর করে ক্ষমতায় ছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি ভেবেছিলেন, তিনি কখনোই ক্ষমতা ছাড়বেন না। কিন্তু দেখুন, মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে কিভাবে পুরো পরিবার নিয়ে পালিয়ে যেতে হলো হাসিনাকে। ওই নেত্রী (শেখ হাসিনা) বলেছিলেন, আমি পালাবো না, আমি ভয় পাই না, আমি মুজিব কন্যা, আমি পালাবো না।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন আর সেখান থেকে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করছেন। মিথ্যা প্রচার-প্রচারণা করছেন। আমাদের হিন্দু ভাইদের এখানে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমরা খুব শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমরা সব সময় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান একসাথে থাকি।’
তিনি বললেন, কাহাও কাহাও (কেউ) কহচে (বলছেন) ৭১ ভুলে যাবে। আমরা ১৯৭১ ভুলতে পারি না। আমাদের স্বাধীন দেশের জন্ম ১৯৭১ সালে। আমি নিজেকে ৭ সালে চিনেছি। আমরা আমাদের নিজস্ব একটি ভূখন্ড তৈরি করতে পেরেছি।
মির্জা ফখরুল ছাত্র-জনতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই ছাত্রদের, আমাদের ভাইদের যারা ১৫ বছর ধরে লড়াই করেছেন। তারা তাদের রক্ত ঢেলে আমাদের জন্য আরেকটি সুযোগ তৈরি করেছেন। যাতে আমরা আবারও দেশে গণতান্ত্রিক পথ তৈরি করতে পারি। আমরা এখানে সব মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। ১৫ বছর ধরে কেউ তিনবার ভোট দিতে পারেনি। আমরা এই ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই।
দলের সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে ভিশন বাংলাদেশ টুয়েন্টি-থার্টি দেন। আর আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন ২০২২ সালে। কী সেই ৩১ দফা, সংস্কার প্রস্তাব। আমরা এই সংস্কার চাই। এই সংস্কারের অর্থ হল আমরা ভোট দিতে পারব, আমাদের দেশে শান্তি থাকুক, জিনিসপত্রের দাম কম হোক, মারামারি না হোক, চুরি-ডাকাতি না হোক।। আর কথায় কথায় যাতে ঘুষ দিতে না হয়। আমরা এমন নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্যসহ দলের অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেন।
