Sun. Jul 6th, 2025
নির্চানকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ভূমিকা প্রয়োজননির্চানকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ভূমিকা প্রয়োজন

গণপ্রহরী ডেস্ক : নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ভূমিকা প্রয়োজন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না হলে জনগণের স্বত:স্ফর্ত অংশগ্রহণে সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন রয়েছে।

কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার কিছু বিষয়ে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারছেন না গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন উল্লেখ করে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা পারন করবেন তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেছি, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন আছে। আমি এটা বলেছি কারণ, আমরা দেখছি, অন্তর্বর্তী সরকার কিছু বিষয়ে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারছে না। আমরা আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে।

শহীদ আসাদের ৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শহীদ আসাদ পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সচিবালয় থেকে শুরু করে সব প্রশাসনে আমলাতন্ত্র আগের মতোই ভূমিকা পালন করছে। কোন পরিবর্তন করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে, স্কুল-কলেজে লেখাপড়া হচ্ছে না। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। অতীত থেকেই এগুলো এসেছে। এত অল্প সময়ে সেগুলোর পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এ কারণেই আমরা বলছি, নির্বাচন দ্রুত হোক। নির্বাচনের পর যে সরকার আসবে, তাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার পূরণের দায়িত্ব থাকবে।

প্রায় ১৫ বছর ধরে আমরা নির্বাচন থেকে বঞ্চিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচন দ্রুত হওয়া দরকার। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাবে। সেই ইস্যুতে জোরপূর্বক বিতর্ক সৃষ্টি হলে জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচনে কে আসবে সেটা মুখ্য নয়, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ১৫ বছর ধরে এর জন্য লড়াই করেছি। এ কারণে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। স্বাভাবিকভাবেই, ছাত্র অভ্যুত্থানের পর জনগণের প্রত্যাশা বেড়ে যায়। কিন্তু এখন আমরা নিশ্চিত হতে পারি না যে সমাজের বর্তমান অবস্থার সাথে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের আলাদা কর্মসূচি থাকে। তারা সেসব কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে চায়। তবে একটা বিষয়ে সবাই একমত যে একটা নির্বাচন হওয়া দরকার। নির্বাচন শুধু একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়, গণতান্ত্রিক পথ তৈরির জন্যও প্রয়োজন।

শহীদ আসাদকে নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যারা ১৯৬৯ সালের ছাত্র অভ্যুত্থানে জড়িত ছিলাম তাদের কাছে শহীদ আসাদ এক ভালোবাসার নাম। আসাদ আমাদের সংগ্রামের অনুপ্রেরণা। পাঠ্যপুস্তকে যতই নাম থাকুক বা কেউ মনে রাখুক না কেন, শহীদ আসাদকে কেউ ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে আসাদ অমর হয়ে থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘২৪-এর ছাত্র অভ্যুত্থানের ফলে আমরা একজন ফ্যাসিস্ট শাসককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছি। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খান ক্ষমতাচ্যুত হন।। কিন্তু আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারিনি।

শহীদ আসাদ পরিষদের সভাপতি ড. মাহবুব উল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *