গণপ্রহরী ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টা বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত দেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ। ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাক সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস হলে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যহীন, শোষণহীন, কল্যাণময় রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে এই সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে ছাত্র-জনতার কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ছাত্র-জনতার জন্য অর্জিত নতুন বাংলাদেশে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। তারা যে সুযোগ আমাদের তৈরি করে দিয়েছে, তার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি
বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত দেশ গঠনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কেউ কারও উপরে না এবং কেউ কারও নিচে না- এই ধারণা আমরা জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা আমাদের এই নতুন দেশের দায়িত্ব। বাগবিতণ্ডা হবে, পরিবারে মতভেদ থাকবে, কিন্তুকেউ কারও শত্রু হবো না আমরা। কাউকে তার মতের জন্য শত্রু মনে করবো না। ধর্মের কারণে কাউকে শত্রু মনে করবো না। আমরা সবাই সমান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মেধার ভিত্তিতে নিজ নিজ সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে তরুণ সমাজ যেন দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে আমাদের
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্ট ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, মানবিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সমাদৃত। সব রাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা বন্ধুত্ব বজায় রাখবো। পারস্পরিক সম্মান, বিশ্বাস, আস্থা ও সহযোগিতা আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি। আমাদের একত্রে কাজ করে মোকাবেলা করতে হবে জলবায়ু সংকট, বৈশ্বিক শান্তি ও সুসংহত অর্থনীতি।
অন্যদিকে, ২০১০ সালে রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় হওয়া মানহানির একটি মামলা ও শ্রম আদলতের ৫ মামলা গত ২৪ অক্টোবর এ কে এম আছাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বাতিল করেন। ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মামলার আদেশের অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
মামলা বিষয়ে আদালত আদেশে বলেন, এই মামলাগুলো করে আদালতের সময় নষ্ট করেছেন বাদী। শুধু তাই নয়, এসব মামলা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই করা হয়েছে। সে কারণে শ্রম আদালতে করা এই ৫টি মামলা বাতিল করা হলো।
আদালত আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালসী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানির উদ্দেশ্যে ২০১০ সালে কোতোয়ালি থানায় করা মামলাটি করা হয়েছিল। আর মামলার বাদী এ হয়রানি করতে আদালতকে ব্যবহার করেছিলেন।
