Thu. Jul 10th, 2025
ভষিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা দায়বদ্ধ: তারেক রহমানভষিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা দায়বদ্ধ তারেক রহমান

গণপ্রহরী ডেস্ক : ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা দায়বদ্ধ উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা আগামী প্রজন্মের কাছে দায়বদ্ধ। সেই সাথে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করার জন্য স্বাস্থ্যখাত, কৃষিখাতসহ গুরুত্ব দিতে হবে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টির উপর। দেশ পরিচালনার দায়িত্বে জনসমর্থিত দল থাকলে দেশ ও জনগণের স্বার্থ থাকবে নিরাপদ। ৩১ দফা সফল বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রের উত্তম জবাব দেওয়া হবে।

১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে সন্ধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দায়বদ্ধতা কথা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্টের আগে স্বৈরাচার পতনের দাবি ছিল মানুষের। আমরা স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছি। এখন ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মেরামত করতে হরে রাষ্ট্রকাঠামো। আর তা বাস্তবায়নের জন্য জনগণের কাছে যেতে হবে বিএনপি নেতাকর্মীদের। ৩১ দফা সম্পর্কে জনগণকে জানতে হবে। প্রস্তুত করতে হবে নিজেদের।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, মিথ্যা গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে আমাদের নেতাকর্মীদের নামে। হাত-পায়ে ডান্ডাবেরি পরে অনেকে মা-বাবার জানাজায় অংশগ্রহন করেছেন। আমাদের নেতাকর্মীদের স্বৈরাচারী সরকার নানাভাবে হয়রানি করেছে। কাউকে আঘাত করে, কাউকে হত্যা করে, আবার কারো কারো ব্যবসার ক্ষতি করে। অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতি করেছে। ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসব কিছুর জবাব দেওয়া হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, সাধারণ মানুষের আস্থা আছে বিএনপির উপর। জনগণের মধ্যে ভোটের সেই আস্থা ছড়িয়ে দিতে হবে।

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি বলেন, বৈষম্য ও বিভাজনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ঐক্য কাজে লাগাতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, জনগণের ক্ষমতায়ন ছাড়া জাতীয় ঐক্য শক্তিশালী বা টেকসই হতে পারে না।

তিনি আর বলেন, একটি সংসদ যা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত জনগণর চাওয়া-পাওয়ার প্রতিফলন ঘটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা, সমাজ ও রাষ্ট্র সব ক্ষেত্রেই কাজ করে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ভিত্তি হিসেবে। সত্যিকার অর্থে, জনগণের রাজনৈতিক শক্তি তখনই সুরক্ষিত হয়, যখন কার্যকর সংসদ ও জবাবদিহিমুলক সরকার একসাথে মিলেমিশে কাজ করে।

তারেক রহমান আরও বলেন, রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনার জন্য সংষ্কার অনিবার্য। জনগণের অধিকার রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাস্তব রোডম্যাপ জানার। জনগণ জানতে চায়, কী অর্জন করতে চায় সরকার ও প্রয়োজনীয় সময়সীমা কী। স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদের হাত থেকে রাষ্ট্র ও সরকারকে রক্ষা করতে হলে দৈনন্দিন চর্চা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংষ্কৃতি লালন করা-নিয়ম ও বিধান মেনে চলার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে নি:সন্দেহে এই বিজয় দিবস উদযাপন আরও আনন্দের, তাৎপর্যপূর্ন ও গৌরবময়। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের প্রতিটি স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস জনগণের প্রতি রাষ্ট্র ও সরকারের দায়বদ্ধতার অঙ্গীকারের প্রতীক হয়ে থাকবে।

রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি প্রশিক্ষণ কর্মশালা জেলা বিএনপি আয়োজিত জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা খান রিতার রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়।

আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান ডা. মওদুদ আলমগীর পাভে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য দেন- সাইদুল আলম বাবুল (বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক), এসএ জিন্নাহ কবীর (জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক), মঈনুল ইসলাম খান শান্ত (সাবেক সাধারণ সম্পাদক), ড. খন্দকার আকবার হোসেন বাবলু (সহ-সভাপতি), রুখসানা খানম মিতু (জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য)।

বিএনপি নির্বাহী কমিটির সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহেনা আক্তার রানু ও অর্পণ বাংলাদেশের সভাপতি বীথিকা বিনতে হোসাইন প্রশিক্ষণ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *