গণপ্রহরী রিপোর্ট: ভ্যাট আরোপ গণবিরোধী ও জনআকাঙ্খার পরিপন্থিও। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অনেক আশা নিয়ে জনগণের অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থান সফল হয়। আর সেই সফল গণঅভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায়। এই সরকারের আমলে অন্তত: জনগণের দু:খ-দুর্দশা লাঘব হবে। নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পযায় থাকবে। বৈষম্য অবসানের মধ্য দিয়ে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় নিবার্চিত সরকার বাধ্য থাকবে, এমন সংস্কার করে নিবার্চনের ব্যবস্থা করবেন।
যে আকাঙ্খা, যে আশা ও যে স্বপ্ন নিয়ে সাধারণ মানুষ আন্দোলনে অংশ নিয়ে অনেকে শহীদ হয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে, শাকসবজি ও ডিমের দাম ক্ষেত্রবিশেষে কিছুটা কমলেও সামগ্রিকভাবে তথৈবচ। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ প্রকারন্তরে প্রায় সবাই কৃষি ও কৃষি নির্ভর শ্রমের সাথে জড়িত থাকায় কোনো বিষয়ে উদাহরণ দিতে কৃষি সম্পর্কিতই থাকে। যেমন অনেকের মতে, আগের হাল যে দিকে যায় পাচের (পিছনের) হালও সেদিকে যায়। এমনকি বৈষম্যবিরোধী নাম দিয়ে বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন দেখানো আন্দোলনের নেতারা সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আগুণ ঝড়া স্লোগানও আর দেন না এবং সাধারণ দু:খ-দুর্দশা দেখে শান্তনাও দেন না। অথচ সূত্র মতে, জনগণের পকেটে আয় না আসলেও তাঁদের পকেট থেকে রাজস্ব ঘাটতি পূরণে জনগণের পকেট থেকে রক্তঘামের ১২ হাজার কোটি টাকা চলে যাবে ভ্যাট-করে।
আর অন্তর্বর্তী সরকার? সরকারতো ভারতের অনুগত রাষ্ট্র বানানোর পতিত স্বৈরাচারের প্রেতাত্মাদের যথাস্থানে, যথাসম্মানে রাষ্ট্র কাঠামোতে রেখেছেন। পাশাপাশি ভারতের সাথে সম্পর্কোন্নয়নে চেষ্টার সাথে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা নিরাপদ রাখতে বিশ্বব্যবস্থার সমর্থিত উন্নয়ন কাজ নিয়ে ভাবছেন। এতে রাষ্ট্র সংস্কার কাজ কিছুটা আগালেও সময় নেই, তাঁদের জনগণের দু:খ-দুর্দশা দেখার। এবং দু:খ-দুর্দশায় সাধারণ মানুষের পরিবর্তিত চেহারার বহি:প্রকাশের ভাষা ও কথা তারা বোঝেন না। আর রাজনীতিবিদরা কেও নির্বাচনের জন্য আবার কেও ঘুরে ফিরে সংষ্কারের মাধ্যমে নির্বাচনের জন্য ব্যস্ত। জনগণের সমস্যা নিয়ে কথা বলার চেয়ে ভোট প্রাপ্তির কৌশলী কথাবার্তা নিয়ে ব্যস্ত।
পাঠক মনে প্রশ্ন, এতক্ষণ যা আলোচনা হলো, তাতে সামগ্রিক বিবেচনায় পাকিস্তান আমলে সাধারণের যে অবস্থা ছিল ও রাষ্ট্র কাঠামো যেমন ছিল, বাংলাদেশ আমলেও তাই। শুধু সরকার পরিবর্তন হয়েছে। যেমন, বিগত স্বৈর শাসনামলে সার্বিক ব্যবস্থা একই, শুধু অত্যাচার-নির্যাতন, গুম-হত্যা ও অর্থপাচার বেশি। এ পরিস্থিতিতে জনগণ আগেও শাসিত-শোষিত, অবহেলিত-অধিকারহারা ছিলেন। এখনও তাই। এ জন্যইতো ‘আগের হাল যেদিকে যায় পাচের (পিছনের) হাল সেদিকেই যায়’- লিখলেই হতো। তা না করে ‘ভ্যাট আরোপ গণবিরোধী ও জন আকাঙ্খার পরিপন্থি’ সিদ্ধান্ত (!) শিরোনাম কেন।
পাঠক, আপনাদের মন্তব্য ‘শিরোধার্য। কিন্তু এতক্ষন যা লেখা হয়েছে তার সবটাই ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের-সাধারণের কথা ও শিরোনাম ভালো লাগলেও তার কৃতিত্ব সাধারণ মানুষেরই। প্রতিবেদকের শুধু একটু গুছিয়ে উপস্থাপনা করার চেষ্টা মাত্র। সচেতন পাঠকবৃন্দ নিজেরাও অবগত এবং পত্র-পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমেও বিস্তারিত জেনেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সহ দেশী-বিদেশী ঋণ পরিশোধের চাপে নজিরবিহীন ভ্যাট বাড়িয়েছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার একটি লাইন লিখলেই অনেকের পুরো কবিতাটি মনে পড়বে এবং সাধারণ মানুষের আবেগ-আক্ষেপ থেকে বেরিয়ে আসা তাঁদের আকাঙ্খার কথাগুলোর ভাব সম্প্রসারণ করতে পারবেন। কবি লিখেছেন, ‘পড়বিতো পড় মালির ঘাড়ে’। কবির ‘মালি’ প্রতিবেদনটির সাধারণ মানুষ।
সচেতন মহল অবগত যে, ঋণ দেয়া অর্থ ফেরত পাওয়ার বিশ্বাসযোগ্য-যৌক্তিক নিশ্চয়তা সাপেক্ষে কড়াকড়ি নিয়ম-নীতির আওতায় বিদেশী ঋণ নিতে হয় এবং ঋণ প্রাপ্তিতে অনেক সময়ও লাগে। পক্ষান্তরে দেশী উৎস থেকে খুবই কম সময়ে ফোনালাপেই ঋণ নেয়া যায় এবং তা খুবই সহজও বটে। এক্ষেত্রে বিশ্লেষকদের মতামতের পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনের রসিক সমালোচকদের মতে, বিগত হাসিনার সরকার গত ১৫ বছরে নিজেদের কমিশনের (ভাগ বাটোয়ারা) ‘ষোল আনা’ বুঝে নিয়ে এবং ক্ষেত্র-বিশেষে পুরো কমিশনের চাহিদা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা ভিত্তিতে বাছ-বিচারহীনভাবে ও দর-কষাকষির ভিত্তিতে বেশির ভাগ বিদেশী ঋণ নেয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত বুলেটিনের তথ্য দেশি-বিদেশী ঋণের স্থিতি নিয়ে বলেছে, ৮ লাখ ১২ হাজার ৭৭ কোটি টাকা স্থিতি বিদেশি ঋণের। এবং দেশী (অভ্যন্তরীন) ঋণের স্থিতি ১০ লাখ ২০ হাজার ২০৫ কোটি টাকা। তথ্যাবলীর এক চিলতে তথ্যেই সহজেই অনুমেয় যে, গত ৩০ জুনের পর জিডিপি’র (দেশজ উৎপাদক) তুলনামুলক ভাবে ৩৬ দশমিক ৩০ শতাংশ ঋণ দাড়িয়েছে। যদিও ৩২ দশকিম ৪১ শতাংশ ছিল চার বছর আগে। অথচ এক বছরে ঋণের স্থিতি ২ লাখ ১৪ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত সরকারের ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়কালের তিনটি বাজেটের সমান হচ্ছে দেশি-বিদেশী ঋণের বৃদ্ধি হওয়া স্থিতি।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে সচেতন মহল নিশ্চিত হয়েছেন, জগদ্দল পাথরের মতো বিশাল অংকের ঋণের বোঝা চেপেছে সরকারের ঘাড়ে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার নির্ভরশীল মাধ্যম আমলাতন্ত্রিক কুটকৌশলে, বিগত সরকারের গলাবাজির রাজনীতির চালবাজিতে এই ঋণের বোঝা। তাদের প্রেতাত্মারা রাষ্ট্রকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থেকে কলকাঠি নেড়ে দিয়েছে। যে নাড়ায় সরকারও কিছুটা রেহাই পেলো এবং নির্বাচিত সরকারের ঘাড়ে স্বাভাবিকভাবেই বোঝা কমে যাবে। একইভাবে কলকাঠি এমনভাবে ঘুরানো হলো সাধারণ মানুষ ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি করতে থাকবেন। ভারতের মদদে অপতৎপরতা বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হবে। এটাকে মোটা দাগে বলা যায়, বিশ্বব্যবস্থারই সৃষ্টি এমন ব্যবস্থা।
তাইতো, শ্রেনীগতভাবে একই শ্রেণীর ক্ষমতাসীনরা। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলের প্রধান শক্তিগুলোর সামনের সারির বেশিরভাগই মতাদর্শগত পার্থক্য কিছু কিছু থাকলেও একই শ্রেণীর। সাধারণ মানুষের ও শোষিত শ্রমিক-কর্মচারীদের পক্ষের শক্তিগুলোর বেশিরভাগই শোষক-শাসকদের দালালীতে পাকাপোক্ত। যে দিকে বৃষ্টি সেদিকে ছাতা। যে কারণে জাতীয় কবির কবিতার পক্তিটি ‘পড়বিতো পড় মালির ঘাড়ে’। যেন আবারো নিত্যপণ্যের বেশি দামে নাভিশ্বাসে থাকা শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হলো, শতাধিক পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট ও আবগারি শুল্কের বোঝা। সরকারের এ সিদ্ধান্তে শতাধিক পণ্য ও সেবার দাম বাড়াবে। যাকে বলা যায় গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। আর এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তের ভ্যাট জনআকাঙ্খার পরিপন্থিও বটে।
এবার পাঠকদের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নমূলক মন্তব্যের-‘ভ্যাট আরোপ গণবিরোধী ও জনআকাঙ্খার পরিপন্থি (!) শীর্ষক আলোচনায় অর্থনীতিবিদ বিশেষজ্ঞদের চুম্বক দু’একটি কথা তুলে ধরার চেষ্টা। এমনিতে বাজেট ঘোষণার সময় ঘনিয়ে আসছে। এর মধ্যে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারা এবং শতাধিক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট আরোপ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টার ব্যর্থতা ঢাকতে দায়দায়িত্ব এড়ানোর বক্তব্যকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকে শিরোনামের মতামত তুলে ধরেছেন। এর আগে কারো কাছে অপ্রাসঙ্গিক মনে হতে পারে যে, প্রবাসে থেকে ইউটিউবসহ সামাজিক অন্যান্য মাধ্যমে যৌক্তিক উদাহরণ দিয়ে পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন, এম রহমান মাসুম প্রমুখ বাণিজ্য উপদেষ্টাসহ ক’জন উপদেষ্টা সম্পর্কে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছিল। যদিও বিগত সরকারের পতিত সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বলেছিলেন, ‘সিন্ডিকেট ভাঙ্গা যায়নি, সিন্ডিকেট আছে’। যা এখনো আছে। যা বাণিজ্য উপদেষ্টার ব্যর্থতার স্বাক্ষ্য।
সচিবালায়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বসির উদ্দিন গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নাত্তোরে চাল-পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করার মতো তাঁর ও তাঁর সরকারের হাতে কোনো মেশিনও নেই বা আলাদিনের চেরাগতো নেই, যার সুইচ টিপে দিলেই বাজার ঠিক হয়ে যাবে। গণঅভ্যূত্থানতো শেখ হাসিনার সরকারের পতন করেছে। তারাতো আলাদিনের চেরাগ দিয়ে যায় নি। দিয়েছে ক্ষমতা আর রেখে গেছে তাদের প্রেতাত্মাদের। তবে চালের দাম যে আগা-গোড়াই বৃদ্ধি তা না বলে তিনি বলেছেন সম্প্রতি চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় জনগণের সাময়িক সময়ের জন্য কষ্ট হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার কিন্তু সিন্ডিকেট ভাঙ্গার নয়।
এদিকে, যে জনগণের অংশ গ্রহণের গণঅভ্যূত্থানের ফসল-‘সরকার হলেও সেই জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ও কৃতজ্ঞতা স্বরূপ বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেননি। উপরন্ত বাণিজ্য উপদেষ্টাকে আলাদিনের চেরাগ না দিয়েই সরকার জনগণের ঘাড়ে-‘মরার উপর খাড়ার ঘা’-এর মতই ১শটির মতো পণ্য ও সেবার ওপর ৫ থেকে ১৫ ভাগ অতিরিক্ত ভ্যাট ও করারোপের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি আরেক দফা বাড়ানোর জন্য সুইচ টিপে দিলেন। অর্থীনতি বিশ্লেষকদের মতে, সরকার করের আওতা বড়াতে পারতেন। তাহলে ভ্যাট-শুল্ক বাড়াতে হতো না।
জনগণ বলতে পারতেন না-বাজার দরের জন্য তাদের কষ্টের কথা। একইভাবে নিত্যপণ্যের বেশি দামে নাভিশ্বাসে থাকা মানুষের ঘাড়ে অতিরিক্ত ভ্যাট ও করারোপ না করে বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনলে স্বাভাবিকভাবেই ভ্যাট কর আরোপ করতে হতো না। তা না করে সরকারের করারোপের সিদ্ধান্ত জনস্বার্থের পরিপন্থি অর্থাৎ ভ্যাট আরোপ গণবিরোধী ও জনআকাঙ্খার পরিপন্থি।
দেশের খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ-অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ তাঁর যুক্তিযুক্ত বক্তব্যে অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট না বাড়িয়ে ভ্যাটের আওতা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদ যৌক্তিক আলোচনার ধারাবাহিকতায় বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের আন্দোলনের ফসলহেতু জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, শুল্ক (ভ্যাট) বাড়ানোর ফল-মধ্যবিত্ত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির উপর এমন প্রভাব ফেলবে, যে মানুষের কষ্ট দ্রুত বাড়বে। মূল্যস্ফীতি বাড়বে।
ভ্যাট ও শুল্কহার বাড়ানোর ঘটনাকে এনবিআরের সাবেক সদস্য ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী নজিরবিহীন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, খেত-খামার ও কলকারখানাসহ বাসা-বাড়িসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অস্থায়ী ও দিনহাজিরায় বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রম নির্ভর মানুষ উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে নাজেহাল হয়ে পড়বেন।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাহাঙ্গীর নগর বিম্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বলেছেন, বছরের এই সময়ে এহেন-কর-ভ্যাটের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতির ওপর। তাতে মূল্যস্ফীতিও বাড়বে।
‘ভ্যাট আরোপ গণবিরোধী ও জনআকাঙ্খার পরিপন্থি’ শীর্ষক আলোচনার সমাপ্তি টানার মুহুর্তে অতি সংক্ষিপ্তভাবে বাজেট ঘোষণার কাছাকাছি সময়কালে প্রধানত আইএমএফের ঋণ পরিশোধের চাপে গণবিরোধী সিদ্ধান্তে পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজনক কর-ভ্যাট সম্পুরক আবগারি শুল্ক বাড়ানোর ফলে মুঠো ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়বে এবং শত পণ্যের দাম বাড়বে। হোটেল রেস্তোরায়ও খাবার সামগ্রীর দাম বাড়বে। যা মানুষের অস্বস্তি বাড়াবে। অস্বস্তি থেকে ক্ষোভ সৃষ্টি হলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা বিবেচনায় নিতে হবে। এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধাতা থেকে এহেন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন এ আশাবাদ গণপ্রহরীর। সেই সাথে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হয় এমন দায়-দায়িত্বহীন বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে উপদেষ্টাবৃন্দকে। এবং একটি শব্দও যদি উচ্চরিত হয় তা প্রত্যাহর করতে হবে, গণঅভ্যূত্থানের সরকারের স্বার্থে।
