গণপ্রহরী ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরাও সংস্কার চাই, এজন্য ৩১ দফা দিয়েছি। কিন্তু তারা যা দিতে চায়, তা আমাদের না দিলেও আমরা কোনো না কোনোভাবে তা পেয়েছি। সেখানে মুক্তিযুদ্ধকে এড়ানো হয়েছে। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তাদের ঘাড়ে চেপে আছে। তারা বলতে চায় দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫ আগস্ট (২০২৪ সাল)। তাই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গরু-ছাগল রক্ত দিয়েছে, নাকি মানুষ রক্ত দিয়েছে? যারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তাদের কথা শুনতে রাজি নয় জাতি।
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের স্লোগান জাতি শুনতে চায় না। তিনি বলেন, ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে এবং ৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পরাজিত শক্তিকে যারা জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে তাদের রুখে দেওয়ার ক্ষমতা এদেশের জনগণের রয়েছে। জাতি তাদের গান শুনতে রাজি নয়।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপি আয়োজিত এক সভা ও সদস্যপদ ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন গয়েশ্বর। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী।
গয়েশ্বর রায় বলেন, আমরা অনেককে ক্ষমা করতে পারি, ভুলে যেতে পারি। ক্ষমা মহত্ত্বের লক্ষণ। কিন্তু আপনি যদি ক্ষমা করার পর আবার একই কাজ করেন, তাহলে তা ভুলে গেলে চলবে না। মুক্তিযুদ্ধে জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং ৭ নভেম্বরের পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করবে, তাদের রুখবার ক্ষমতা এদেশের মানুষের আছে। সেই নেতৃত্বের যোগ্য নেতৃত্বও আছে। হারিয়ে গেছেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু খালেদা জিয়া সেই জায়গা থেকেই শুরু করেন। সেখান থেকে নেতৃত্ব ছেড়েছেন তাদের যোগ্য উত্তরসূরি তারেক রহমান। যুক্তরাজ্য থেকে দল ও দেশবাসীকে সংগঠিত করে তিনি এ বিজয় নিশ্চিত করেন। কিন্তু যতক্ষণ ফলাফল গোলায় না ওঠে ততক্ষণ তিনি সক্রিয়, আমরাও সক্রিয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সবচেয়ে সৌভাগ্যের বিষয় আমি মুক্তিযুদ্ধ করতে পেরেছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ বারবার হবে না, সেই যুদ্ধটা আমরা করেছি। সেই ডাক দিয়েছিলেন রাজনীতির বাইরের একজন মেজর, তার নাম জিয়াউর রহমান। যার নাম মানুষের হৃদয়ে। যে আশা নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি তা পূরণ হয়নি বলে আওয়ামী লীগের এমন পরিণতি হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক মর্মান্তিক ঘটনায় শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার নিহত হলেও আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী সামনে ঘোরাঘুরি করে উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কিন্তু সেদিন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী মারা গিয়েছিল। গত ১৬ বছর ধরে আমাদের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ আপনাদের চিনতে পারেনি কেন? তাহলে অবশ্যই ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। ছাত্ররা তিনটি আন্দোলন করেছে। যে আন্দোলনের মাধ্যমে ভিপি নূর নেতা হয়েছিলেন। দ্বিতীয়ত, বাড্ডায় দুটি বাসের চাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সেবার শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু আমাদের ১৬ বছরের আন্দোলনে আপনারা কবে নেমেছিলেন? এজন্য গণতন্ত্র, নির্বাচন, নির্বাচিত প্রতিনিধি ও নির্বাচিত সরকার জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
