ক্রীড়া প্রতিবেদক: রংপুর রাইডার্স বিপিএলে তিন জয় নিয়ে পয়েন্টে শীর্ষে। অবিস্মরণীয় গণঅভ্যূত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের চব্বিশকে বিদায় দিয়ে জাতি বরণ করে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৫-কে। চব্বিশে শুরু হওয়া বিপিএলের ধারাবাহিকতায় নতুন বছরে পা রাখে বিপিএল। ২ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার ৮ম ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৮ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রংপুর রাইডার্স।
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শীত বহুলাংশে জীবনপথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলেও বিপিএল ক্রিকেট প্রতিযোগীতায় দর্শকদের যেন শীত তেমন বাঁধা হতে পারছে না। ব্যাপক দর্শকের উপস্থিতিতে ৮ ম্যাচের ফরচুন বরিশাল ও রংপুর রাইডার্সের মধ্যকার খেলার ফলাফল জেনে নেয়া যাক।
গণপ্রহরী পাঠক-দর্শকদের পক্ষ থেকে পর পর তিন ম্যাচে তিন জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ওঠায় রংপুর রাইডার্সের মাঠের খেলোয়াড় যোদ্ধাদেরসহ সকল খেলোয়াড়, সংগঠক ক্রীড়ামোদী দর্শকদের জানাচ্ছি বিজয় শুভেচ্ছা ও নতুন বর্ষ ২০২৫ এর অভিনন্দন। ২০২৫ সবার জন্য শুভ হোক।
রংপুর রাইডার্সের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের সামনে টিকতে পারেনি ফরচুন বরিশালের ব্যাটাররা।। এমনকি 124 রানের সামান্য পুঁজি নিয়েও লড়তে পারেনি বরিশালের বোলাররা।
সাইফ হাসানের অপরাজিত ফিফটি রংপুরকে সহজ জয় এনে দেয়। এতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় পায় রংপুর রাইডার্স।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৮ ওভারে ৪ বলে সব উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করে বরিশাল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন তামিম ইকবাল। জবাবে ১৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর রাইডার্স।
তবে ১২৫ রানের জয়ের জন্য খেলে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রংপুর। শূন্য রানে ফেরেন অভিষিক্ত ওপেনার আজিজুল হাকিম তামিম। তিনে নেমে শুণ্য করেছেন তৌফিক খান তুষারও। ১৫ রানে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানকে হারায় রংপুর রাইডার্স।
কিন্তু এরপর দারুণ জুটি গড়েন অ্যালেক্স হেলস ও সাইফ হাসান। তাদের অবিচ্ছিন্ন ১১৩ রানের জুটিতে সহজ জয় পায় রংপুর রাইডার্স। সাইফ ৪৬ বলে অপরাজিত ৬২ রান করেন। আর হেলসের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ৪৯ রান।
এর আগে গত ম্যাচের মতো আজও ব্যর্থ বরিশালের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। ১০ বলে ৯ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। তার বিদায়ে ২৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায়।
শান্তার দ্রুত ফেরার পর তিনে নেমে দলের বিপদ বাড়িয়ে দেন তাওহিদ হৃদয়। ব্যর্থতার বৃত্তে ঘোরা এই ব্যাটার এখনও বাজে শটে আউট। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে ৪ রান।
একপ্রান্তে উইকেট হারালেও শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন তামিম। কিন্তু ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বাড়াতে পারেননি তিনি। নাহিদ রানার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হওয়ার আগে অধিনায়ক ১৮ বলে ২৮ রান করেন।
তামিম ফেরার পর আর কেউ দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি। মিডল অর্ডার কাইল মেয়ার্স, মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সবাই ফেরার মিছিলে যোগ দেন।। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ নবী এক প্রান্ত ধরে রাখার চেষ্টা করলেও রান আউট হন তিনি।
এদিকে দিনের ১ম ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালকে অলআউট করে ৭ উইকেটে বিজয় ছিনিয়ে দুর্বার রাজশাহী। তাসকিন আহমেদ ৭ উইকেট নিয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেন।
