দুর্গোৎসবের আনন্দেও স্বাস্থ্যের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে
গণপ্রহরী ডেস্ক : বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসব বলতেই আনন্দের দোলাচলে যেন দুলতে থাকা। আর এই দুর্গাপূজার আনন্দকে বাড়িয়ে দেয় মজাদার খাবার। ষষ্ঠী থেকে নবমীর দিনগুলোয় পাতে সুস্বাদু নিরামিষ থাকলেও দশমীর দিনে মিষ্টান্ন থাকা চাই। পূজায় নিরামিষ, আমিষ, তৈলাক্ত-মিষ্টান্ন সব ধরণের বেশি খাওয়া হয়। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের নির্ধারিত পরিমাণে খাবার যেমন খাওয়ার অভ্যাস আমাদের সমাজ জীবনে মেনে চলা সম্ভব হয় না।

আবার চিকিৎসকদের যথারীতি পরামর্শ মেনে চলতেও আমরা যেন অভ্যস্ত হতে পারি না। আর এমন ধরণের মজাদার খাবার সব বয়সের মানুষই একটু হলেও বেশী খেয়ে থাকেন। রুচিতে যতটা ধরে খেতে খেতে বেশী খাবার হয়ে যায়। যা শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর হয় তেমনি মানসিকতার উপরও আঘাত এসে থাকে। যদিও আমরা বলে থাকি শরীর বড় ধণ। শরীর যদি না চলে সব আনন্দই নিরানন্দে পর্যবসিত হয়। তাই দুর্গোৎসবের আনন্দেও স্বাস্থ্যের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে আমাদের। এ নিয়ে পুষ্টিবিজ্ঞানী ও চিকিৎসাবিদদের পরামর্শ থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতালোকে দু’চারটি কথা তুলে ধরবো। তার আগে পূজার শেষ দিক হলেও পূজা নিয়ে কিছু না লিখলে ধর্মানুরাগী বিজ্ঞজনদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হবে, সরাসরি না হলেও বিবেকের কাছে অন্তত। তাই—!
আকাশ-পাতাল বৈষম্যের শ্রেণীবিত্তিক সমাজের এই দেশে আনন্দ উপভোগ করা সবার ভাগ্যে একইভাবে হয়ে ওঠে না । তারপরও শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় বিষয় হলেও বিষয়টি সার্বজনীন। সেদিক থেকে স্বাস্থ্যের বিষয় সতর্ক থাকার ‘বিষয় এ মূহুর্তে নয়। আগে দুর্গাপূজার ধর্মীয় তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা না করলেও দুর্গোৎসব নিয়ে দু’চার কথা তুলে ধরছি। পূজার শেষে আমাদের এই লেখাটি পাঠকের কাছে সহানুভূতির সাথে বিবেচ্য হলেও বাধিত হবো।
হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্র মোতাবেক, পঞ্জিকা দেখে দিন-ক্ষন ভিত্তিতে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতার কর্মসূচী যেন প্রকৃতিরই সাজানো । তাইতো শরতের আগমনে সূর্যের আলোর সঙ্গে মেঘ আর রোদের লুকোচুরি খেলায় মত্ত প্রকৃতি । তখনই বুঝতে হবে শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় দরজায় অপেক্ষমান । প্রকৃতির সেই লুকোচুরি খেলার মনোরম দৃশ্যের সাথে তাল মিলিয়ে মহাসমারোহে প্রকৃতির নিয়মেই যেন আগমণ ঘটেছে এবারের শারদীয় দুর্গাপূজার। সম্মানিত পুরোহিতদের মতে-এবার দেবী দুর্গার আগমণ হয়েছে দোলায় বা পাল্কিতে এবং গমণ ঘোটক বা ঘোড়ায়। ১৭ আশ্বিন, ১৪৩১ মতে ২ অক্টোবর বুধবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। অর্থাৎ দেবীপক্ষ ও পূণ্যলগ্নের শুরু হয়। বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, দেশর ৩১ হাজার ৪৬১ মণ্ডপে-মন্দিরে এবার পূজা হচ্ছে। গত বছর ৩২ হাজার ৪০৮ মণ্ডপে পূজা হলেও বন্যার কারণে দুর্গত এলাকার কোথাও কোথাও পূজার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তবে ঢাকা মহানগরে ৪টি বেড়ে ২৫২ মণ্ডপে পূজা হচ্ছে।
২৩ আশ্বিন ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার শ্রী পঞ্চমীতে ছিল দেবীর বোধন। ২৪ আশ্বিন হতে ৯ অক্টোবর বুধবার বেলতলায় চণ্ডীপাঠ ও চণ্ডীপূজার মধ্য দিয়ে নান রকম ফুল ও ফলের সমারোহে সূচনা হয়েছে শ্রী শ্রী দূর্গাষষ্ঠীর। পূজার সময়ে বেজেছে ঘণ্টা, কাঁসর, শঙ্খ, ঢাক ও ঢোলের বাদ্য । ধুপ-প্রদীপ হাতে আরতিও করেন পুরোহিতরা। চণ্ডীপূজা শেষে মণ্ডপে মণ্ডপে ভক্তদের পূজার্চনা আর দেবীর আরাধনা করতে দেখা গেছে। মূলত: চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পাঁচদিন ব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজা।
পাঁচদিনই ফুলে-ফলে, বাদ্যে, নাচে ভক্তদের ভিড়ে মুখর ছিল ও থাকছে মণ্ডপগুলো। ২৫ আশ্বিন মতে ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মহা সপ্তমীতে দেবীকৈ আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্পমাল্য অর্থাৎ ষোড়শ উপাচার (ষোলটি উপাদান) দিয়ে বরণ ও পূজার্চনা করা হয়। পূজার্চনার পর দেবীর কৃপালাভের আশায় তার চরণে পুষ্পাঞ্জলী দেন ভক্তরা। সেই সাথে প্রথম দিনের মতোই ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ আর উলুধ্বনিতে দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমণের খবর জানান দেয়া হয়েছে। পুরোহিতের মন্ত্রোচারণ, ভক্তদের আরতি, প্রার্থনা আর পুষ্পাঞ্জলিতে মণ্ডপগুলো ছিল ধর্মীয় ভাবগাম্ভীয়ে ভরপুর। ২৬ আশ্বিন মতে ১১ অক্টোবর শুক্রবার মহাষ্টমী উপলক্ষ্যে সকালে দুর্গা দেবীর মহাষ্টমীবিহিত পূজা, ব্রতোপবাস, আরাধনা, পুষ্পাঞ্জলি এবং মহাষ্টমী আকর্ষণকারী পূজা। ধর্ম শাস্ত্রমতে, নারীর সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় তাকে দেবীজ্ঞানে আরাধনার উদ্দেশ্যে কুমারী পূজা করা হয়।
১৭ আশ্বিন মতে ১২ অক্টোবর শনিবার মহানবমী। পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে উল্লেখ্য, পঞ্জিকামতে এবার শনিবার মহানবমী পূজার পরই দশমী চিহ্নিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। বিজয়া দশমী উদযাপন করা হবে রোববার ২৮ আশ্বিন ১৩ অক্টোবর। সেদিন বিকেলে বিজয়া শোভাযাত্রা বের হবে। প্রসঙ্গত পুরোহিতদের মতে, ‘পুরানে আছে, অসুর শক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গালোকচ্যুত হয়েছিলেন । এই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। অসুর শক্তির বিনাশে অনুভূত হলো এক মহাশক্তির আবির্ভাব। দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হন অসুর বিনাশী দেবী দুর্গা’।
অসুর বিনাশী দেবী দুর্গার কৃপালাভের জন্য শুধু প্রার্থনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না । কারণ আমরা হিন্দু- মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানসহ সকল ধর্ম-বর্ণের ও নৃগোষ্ঠির মানুষের মুক্তিযুদ্ধের ফসল-বাংলাদেশ। সে ভিত্তিতে আমরা দেখে আসছি শারদীয় দুর্গোৎসব শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্বজনীন নয় এদশের মানুষেরই সর্বজনীন উৎসব। দেশী-বিদেশী অপশক্তি তাদের ক্ষমতাবলে নিজেদের স্বার্থরক্ষায় অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে নানা ক্ষেত্রে। নানা কূটকৌশল অবলম্বন করে আমাদের মধ্যে বিভেদ-বিভ্রান্ত সৃস্টির ষড়যন্ত্র করছে। যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। আবার ঐক্যবদ্ধভাবেই গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ শক্তি প্রয়োগ করে যার যার মেধা দিয়ে স্ব স্ব অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করে শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজের নতুন দেশ গঠন করি। সকল ধর্মের উৎসবকে কার্যকরভাবে সার্বজনীন করি । বিশ্ব শিক্ষা নিক- এ দেশ কোনো একক ধর্মের মানুষের নয়। এ দেশ সবার। সবাই দেশ ও জনগণের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ এবং সম্প্রীতি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ ।
লেখার শিরোনাম প্রেক্ষিত ভূমিকাতে বলেছি, শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং যে ক্ষতিকর পরিস্থিতি মানসিকতাকেও পর্যদুস্ত করে। মনিষীদের প্রচলিত কথায় খাওয়ার ‘খা’ আর বেশী না’- এর’ না মিলে খানা অর্থাৎ খেতে হবে, তবে পরিমাণ মতো, স্বাথ্যসম্মতভাবে। যা যতটা খাওয়া দরকার এবং হজম করা যাবে ততটুকু। যেমন, বিশেষত: যাদের ডায়াবেটিস, কোলষ্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাদের কিন্তু এমন মজাদার খাবার বেশি খেলে ঝামেলায় পড়তে হয়। আবার যারা ডায়েট করে ওজন কমিয়েছেন বা কমিয়ে চলেন, তাদের ক্ষেত্রে হুট করে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই খাবারের যা খাবেন। আবার স্বাস্থ্যসম্মত ‘না’ এর ভিত্তিতে পরিমাণের বেশী খাবেন না।
যাতে করে দুর্গোৎসবের আনন্দের দিনে যেন নিরানন্দের আগমণ না ঘটে এবং তাকে ঘিরে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনকে যেন দুর্ভোগ পোহাতে না হয়। এমনিতে আমরা দূষিত পরিবেশে বিষযুক্ত খাবার খেয়ে চলছি। তাই শরীরে যাতে হাইড্রেট থাকে সেজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। খাবারের মধ্যে বিরতি রেখে খাওয়া এবং শারীরিক কার্যক্রম যেমন হাটাহাটি করা স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উৎসবের সময়েও অন্তত: ৩০-৪০ মিনিট হাটাহাটি করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ সুস্থ্য থাকার জন্য শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেরও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। তাইতো আবারো বলছি— দুর্গোৎসবের আনন্দেও স্বাস্থ্যের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। সেই সাথে দেখা যাক দুর্গোৎসব ঘিরে সরকার ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী সংগঠণের নেতৃবৃন্দ কি বলেছেন।
গণঅভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল লরিয়েট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সব নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ধর্ম-বর্ণ- গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার ভাগ্য উন্নয়ন এবং সমান অধিকার সুনিশ্চিত করে কাজ করে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। তিনি সব নাগরিকের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন ।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব বলেছেন, গত ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশ প্রতিমা ভাঙচুর ও হামলার ১৯টি ঘটনার তথ্য আমরা পেয়েছি। তার পরবর্তীতে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনার খবর আসেনি। দেশজুড়ে কড়া নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বলেছেন সরকার নিরাপত্তার বিষয়ে আন্তরিক। আশা প্রকাশ করেছেন, ভালোভাবে পূজা উদযাপিত হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা, এ দেশ ঐতিহ্যগতভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে বলেছেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেনি, এটা বলবো না। অনেক সময় ভুল বুঝাবুঝি ও গুজব তৈরির মাধ্যমে পারস্পারিক সম্পর্ক নষ্ট করা হয় । ১০ তারিখে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি বলেছেন, আপনারা নিজ নিজ ধর্ম পালন, ধর্মীয় অনুশীলন চর্চা করেবেন । কোনো আশঙ্কা করলে নিয়ন্ত্রনকেন্দ্র, স্থানীয় থানায় জানাবেন। সে যে দলের হোক, যে মতের হোক, আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করা হবে। হৃদয়কে বড় করার আহ্বান জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা পেদেরও বলেছেন, আমি যেমন মুসলমানের উপদেষ্টা, আমি হিন্দুরও, খ্রিষ্টানেরও, বৌদ্ধেরও উপদেষ্টা।
অপরদিকে সেনাবহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ৫ অক্টোবর ঢাকেশ্বরী পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে বলেছেন, শত শত বছর ধরে দেশে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান একসাথে শান্তিতে বসবাস করে আসছে। এ দেশে সবার অধিকার আছে। সমঅধিকার আছে। সাবই যার যার ধর্ম পালন করবেন। সে করবে। জন্য যা কিছু করতে হয় করা হবে উল্লেখ করে বলেছেন, আমরা এখন মাঠে আছি।
পুলিশের মহাপরিদর্শক, (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম পূজামণ্ডপ পরিদর্শনাকলে পূজা নিয়ে কোনো অপতৎপরতা সহ্য করছি না। তিনি বলেছেন, আমরা একটা নতুন পরিবেশে সমগ্র ছাত্র-জনতা এবং পুলিশভাইদের রক্তের বিনিময়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি। সেই বিজয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের পূজা উদযাপন করছি। এখানে অনেকের মনে নানা সংশয় ছিল। সেগুলো দুর করতে প্রায় ৩২ হাজার পূজামণ্ডপে উৎসাহউদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নিরাপত্তা সহকারে পূজা উদযাপন হচ্ছে। পূজা বা যে কোনো ফ্যাস্টিভ্যাল যার যার ধর্মমতে পালন করা সেটা সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু কথা হচ্ছে- ‘সরষের মধ্যে ভূত’ প্রবাদের মতোই বিশ্বাস ঘাতকতা।
পরিশেষে গণঅভ্যূত্থানের আন্দোলনকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাজনৈতিক দল সমূহ এবং সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেন নিরাপত্তায় নিয়োজিত থেকে পূজায় অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে সার্বজনীন উৎসবের বাস্তব চিত্র বিশ্বের সামনে তুলে ধরছেন। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও তৎপর। দুর্গোৎসবের সামগ্রিক সফলতা কামনা করে আবারো বলছি- দুর্গোৎসবের আনন্দেও স্বাস্থ্যের প্রতি সতর্ক থেকে আসছেন ও থাকতে হবে।
