Mon. Jul 14th, 2025
সংখ্যালঘুদের ফুটবল বানিয়ে গোল দিতে পারবেন নাসংখ্যালঘুদের ফুটবল বানিয়ে গোল দিতে পারবেন না -- গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক

স্টাফ রিপোর্টার: সংখ্যালঘুদের ফুটবল বানিয়ে গোল দিতে পারবেন না। বাংলাদেশের হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক ভারতের রাজনীতিবিদদের স্মরণ করে দিতে বলেন, মানুষের কল্যাণে ও মানুষের সেবায় কাজ করাই হচ্ছে রাজনীতিবিদের কাজ। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ নিজেদের জন্মস্থানকে পবিত্র স্থান মনে করে। আগে দেশের কল্যাণ, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় ভূমিকা পালন করাই তাদের প্রথম কর্তব্য।

গত ১৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে ও মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশে হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ প্রামাণিক এ কথাগুলো বলেন। তিনি নিজেকে বাংলাদেশের নাগরিক উল্লেখ করে, সবার আগে দেশকে এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ধর্ম যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। সেই ধর্মকে ব্যবহার করে কেও সংখ্যালঘুদের ফুটবল বানিয়ে গোল দিতে পারবেন না।

হিন্দু মহাজোট মহাসচিব ধর্মগত জনসংখ্যার দিক থেকে সংখ্যালঘু হলেও আমি এবং আমার মতো যাঁরা আছেন তারা সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশে হিন্দুদের ফুটবল বানিয়ে গোল দেওয়ার চেষ্টা যারা করছেন ও করবেন তারা ভুল করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে পুঁজি করে অর্থাৎ সংখ্যালঘুদের ফুটবল বানিয়ে গোল দিতে পারবেন না। কারণ সব ধর্মের সব বর্ণের ও জাতি-উপজাতির সবাই একসাথে যুদ্ধ করে জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে বাংলাদশে স্বাধীন করেছি। এই ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে কেউ ষড়যন্ত্র করে ভাঙ্গন ধরাতে পারবেন না।

মহাজোট নেতা গোবিন্দচন্দ্র প্রামাণিক ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অনেক ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে বলেছেন, তবে ২০০৫ সালের পরের ঘটনাবলি ছিল পুরোটাই রাজনৈতিক। তিনি বলেছেন, আওয়ামীলীগ নেতা শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও শেখ তন্ময় প্রমুখ ধর্মগতভাবে মুসলমান হলেও তাদের বাড়ীঘর পুড়েছে, গোলাম দস্তগীরের শিল্প কারখানা ভাঙচুর হয়েছে। একইভাবে আওয়ামীলীগের কতিপয় হিন্দু নেতাদেরও বাড়ীঘর পুড়েছে। কিছু সংখ্যক সাধারণ হিন্দুদের বাড়িও পুড়েছে। এহেন আগুন দিয়ে বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ঢালাওভাবে সাম্প্রদায়িক বলা চলে না, বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাজনৈতিকও কিছু, সাম্প্রায়িকও কিছু। তিনি পুনরায় ভারতীয় রাজনীতিবিদদের স্মরণ করে দেন, সকল ধর্মের মানুষের রক্তের যে দেশ সে দেশে হিন্দুদের ফুটবল হিসেবে ব্যবহার করে কে কতোটা গোল দিতে পারেন, সে আশা পুরণ হবে না।

সংখ্যালঘু সাম্প্রদায়কে পুঁজি করে ভারতীয় আধিপাত্যেবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য ও মহান বিজয় দিবস ২০২৪ পালন উপলক্ষ্যে ভয়েস অব টাইমসের আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা দক্ষিণ মহানগরের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আইনজীবি ড. হেলাল উদ্দিন ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ জাতীয় প্রেসক্লাবের নাগরিক সামবেশে বক্তব্য রাখেন। এডভোকেট ড. হেলাল তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশি হয়েও আমাদের জাতীয় পতাকায় আগুন দিয়ে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়েই আগুন জ্বালিয়েছেন। ভয়েস অব টাইমসের সভাপতি মোহাম্মদ ফারুকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্যদানকালে বিএনপি নেতা আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বলেছেন, ভারত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সহযোগীতা করেছেন তারা বাংলাদেশকে পুতুল রাজ্য হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, আব্দুল্লাহিল মাসুদ ও মুহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *