Sun. Jul 6th, 2025
সোনাতলার মানুষ সেতুর অভাবে দুর্ভোগের শিকারসোনাতলার মানুষ সেতুর অভাবে দুর্ভোগের শিকার

সোনাতলা থেকে সংবাদদাতা : সোনাতলার মানুষ সেতুর অভাবে দুর্ভোগের শিকার। গত ১৫ বছর উন্নয়নের জোয়ারে বাংলাদেশের মানুষ অসময়ের বন্যায় ডুবলেও, স্বৈরাচারের উন্নয়নের জোয়ার থামেনি। তাই হয়তো কারো কারো বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে, সোনাতলার মানুষ সেতুর অভাবে দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, সত্যই। সেও আবার একাধিক সেতু নিয়ে আজকের আলোচ্য নয়। মাত্র একটি সেতুর জন্য সারিয়াকান্দির ৯টি চরের মানুষসহ জামালপুর জেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ চলাচল করতে সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দীর্ঘ সময় থেকে। শিক্ষার্থীদেরতো খেয়ার নৌকা ডুবে যাওয়ার আতঙ্ক নিয়েই চলতে হয়।

সোনাতলার মানুষ আক্ষেপ করে বলে থাকেন, দেশের উত্তরবঙ্গইতো সমস্যায়। এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে পিছিয়েই আছে। এত দুঃখ, এত আক্ষেপ বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের মির্জাপুর খেয়াঘাটে মাত্র একটি সেতুর প্রয়োজনে। কেননা, স্থানীয়দের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতে হচ্ছে। নির্বাচন আসলে কত নেতা, কত প্রার্থী সেতু (ব্রীজ) নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েই এতকাল পার করে আসছেন। কেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। যে কারণে সোনাতলার মানুষ সেতুর অভাবে দুর্ভোগের শিকার।

স্থানীয়দের আক্ষেপ থেকে জানা যায়, উপজেলা শহর থেকে পাকুল্লা প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে। আর সেখান থেকে ১ কিলোমিটার পূর্বে যমুনা নদীর মির্জাপুর খেয়াঘাট। নয়টি চরের বাসিন্দা এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও জামালপুর জেলার বিপুল পরিমাণ মানুষ এ ঘাট দিয়ে যাতায়াত করেন। একটি মাত্র ডিঙি নৌকা আছে এইসব বিপুল পরিমাণ মানুষের জন্য। নৌকায় করে দিনের বেলা নদী পারাপার করা গেলেও রাতের বেলা নিতে হয় ঝুঁকি। দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় কখনো কখনো।

খেয়াঘাটে দীর্ঘ সময় ধরে নৌকার জন্য অপেক্ষাও করতে হয় এই চলাচলকারী মানুষদেরকে। যে জন্য শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়মতো ক্লাসে উপস্থি থাকতে পারে না। সূত্রমতে ইউনিয়নের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাকুল্লা উচ্চবিদ্যালয়ে ৯ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী আসে বিভিন্ন চর থেকে। তাদের বিদ্যালয়ে আসার জন্য পারি দিতে হয় মির্জাপুর খেয়াঘাট। এলাকাবাসীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তির জন্য মির্জাপুর খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণ প্রয়োজন।

বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুল হক সাংবাদিকদের জানান, মির্জাপুর খেয়াঘাটে একটি সেতু নির্মাণ প্রয়োজন। আর এই প্রকল্পটি ব্যয়বহুল। ১৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন এই সেতুটি নির্মাণের জন্য বর্তমান সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। যদিও প্রকৌশলীর মতে, এই সেতুটি নির্মাণ করা বা প্রকল্পটি বাস্তাবায়ন করা সম্ভব হবে জনপ্রতিনিধীরা উদ্যোগ গ্রহন করলে। ফলে জনগণর এই দীর্ঘ সময়ের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *