স্টাফ রিপোর্টার : গাইবান্ধা সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের কৃষকের মাঝে স্মাট যন্ত্রপাতি সরবরাহের স্মার্ট প্রকল্পের সাড়ে ৪ কোটি টাকা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের পকেটে। বঞ্চিত শুধু কৃষক।
গণমাধ্যম কর্মীদের মাঝে খবরটি একটু একটু করে ছড়িয়ে পড়লে সংবাদ কর্মীরাও অনুসন্ধানে ছড়িয়ে পড়েন। কিন্তু ৪৮ টি স্মার্ট যন্ত্রপতি সরবাহের প্রকল্পে একটি স্মার্ট যন্ত্র সরবরাহের সত্যতা খুজে পাননি । খুজে পেয়েছেন ৭ জন উপসহকারী কৃিষকর্মকর্তা দীর্ঘসময় যাচাই – বাছাই করে পৌরসভাসহ ১৪টি ইউনিয়নে ৯টি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত ৯ ধরনের স্মার্ট কৃষি যন্ত্র সরবরাহের তালিকা তৈরী করে, তাদের মধ্যে বিতরন করেছেন। কৃষি উন্নয়নের এই প্রকল্পের আওতায় সরবরাহ করা প্রতিটি যন্ত্র বাবদ কৃষককে ৫০% ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে বাকী ৫০% প্রকল্পের অর্থ।
স্মার্ট প্রকল্পের বৈশিষ্ট মতে কৃষির উন্নয়ন বিবেচনায় কৃষককে ১টা টাকাও দিতে হয়নি। কৃষকের ভাগ্যে স্মার্ট যন্ত্রও জোটেনি। উপরন্ত স্মার্ট প্রকল্পে মূল কাজ হলো ‘কাগজে কলমে’ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন (?) এ প্রকল্পে বাদ থাকবেন উপকারভোগী কৃষক জনতা । তবে সংবাদকর্মীরা জানতে পেরেছেন দু’চারজনে ‘লামছাম’ কিছু টাকা পেয়েছেন। এখন প্রশ্ন সামনে এসেছে ২০২২ থেকে ২০২৪ অর্থবছরের কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরনের ভূর্তকী প্রকল্পের ৪ কোটি ৪০ লাখ ৪ হাজার টাকার মধ্যে কার পকেটে কত? বিষয়টি সংশ্লিট বিভাগের উর্ধতন কর্র্তৃপক্ষ, দুর্নীতি দমন বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিবেচনার ওপর। তবে হয়তো যন্ত্র না পেলেও জানা যাবে, কার পকেটে কত টাকা।
মৎস খামারে ট্রাক্টরের চাষ-খামারির সর্বনাশ
অপরদিকে নোয়াখালী সংবাদদাতা জানিয়েছন, সদর উপজেলার কাশিপুরের মৎসখামারি নুরুল আমিনের মৎসখামারে একই গ্রামের প্রভাবশালী মহিউদ্দিন ও আবুল খায়ের গং প্রভাব বলয়ে- ক্ষমতার দাপটে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে। কয়েক লাখ টাকার মাছ বিনষ্ট করে। মৎস্য খামারের মাছ বিনষ্টকারীরা ইতিপূর্বেও বিষপ্রয়োগে মাছ বিনষ্ট করার অভিযোগ রেখেছে। এ নিয়ে জনমনে আলোচিত হচ্ছে- মৎস্য খামারে ট্রাক্টরের চাষ : খামারির সর্বনাশ।
২০২৪ সালের এ ঘটনায় নোয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে নং ১৩৬/২৪ সিআর মামলা করে। আদালতের আদেশে সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তদন্ত করেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আশংকায় মামলার বাদী-নুরুল আমিন সাজুকে বিবাদীরা মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বাদী নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। এ ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে দৈনিক সচিত্র নোয়াখালী পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খারাপটি প্রকাশ হয়েছে।
আরও পড়ুন- পানি সংকট : দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্পে
