ডেস্ক নিউজ: ২০২৫ সাল: ডিজিটাল মার্কেটিং হবে বাংলাদেশের বেকারত্ব দূর করার মোক্ষম হাতিয়ার । বর্তমানে বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেতে শিক্ষিত বেকারদের কাছে ফ্রিল্যান্সিং অনেক জনপ্রিয় উঠছে। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি মুক্ত পেশা। যেখানে একটি ডিমান্ডিং স্কিলের উপর দক্ষতা অর্জন করে এই পেশা থেকে আয় করা। এরকম একটি ডিমান্ডিং স্কিল হচ্ছে ‘ডিজিটাল মার্কেটিং।
নাঈম মীর। তিনি একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার। “২০২৫ সালে ‘ডিজিটাল মার্কেটিং’ বেকারত্ব দূরীকরণে কতটা ভূমিকা রাখতে পারে” এই বিষয় নিয়ে প্রতিবেকের মুখোমুখি নাঈম মীর।
প্রতিবেদক: আশা করি ভালো আছেন।
নাঈম মীর: জ্বি। আপনাদের সকলের দোয়া ও ভালোবাসায় ভালো আছি।
প্রতিবেদক: নাঈম মীর, আপনার মতে ২০২৫ সাল কেন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের বেকারত্ব দূর করার সঠিক সময়?
নাঈম মীর: ধন্যবাদ আপনাকে। ২০২৫ সাল হবে বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের একটি স্বর্ণযুগ। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে, এবং আমরা দেখছি তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তিগত দক্ষতায় এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি ক্ষেত্র, যেখানে স্বল্প পুঁজি দিয়ে মানুষ নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারে। আর এই খাতে প্রতিনিয়ত নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
প্রতিবেদক: বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিং কীভাবে বেকারত্ব দূর করতে পারে?
নাঈম মীর: ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাজের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, SEO, গ্রাফিক ডিজাইন, ফ্রিল্যান্সিং—এসব ক্ষেত্রের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আমাদের দেশের তরুণরা যদি প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নেয়, তাহলে তারা ঘরে বসেই কাজ করতে পারবে, এমনকি আন্তর্জাতিক মার্কেটে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারবে।
প্রতিবেদক: এই খাতে প্রবেশ করতে তরুণদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
নাঈম মীর: প্রথমত, ভালোভাবে শিখতে হবে। ইউটিউব, অনলাইন কোর্স, এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রচুর ফ্রি রিসোর্স রয়েছে। দ্বিতীয়ত, ছোট ছোট প্রকল্পের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। তৃতীয়ত, ইংরেজি ভাষার উপর দখল থাকা জরুরি, কারণ আন্তর্জাতিক মার্কেটে কাজ করতে হলে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিবেদক: সরকার এবং প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা কী হওয়া উচিত?
নাঈম মীর: সরকারের উচিত বিনামূল্যে বা সাশ্রয়ী মূল্যে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম চালু করা। পাশাপাশি ইন্টারনেটের মূল্য কমানো এবং গ্রামীণ অঞ্চলে সংযোগ বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও ইন্টার্নশিপ এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণদের সহযোগিতা করতে পারে।
প্রতিবেদক: ভবিষ্যতে এই খাতে কী সম্ভাবনা দেখছেন?
নাঈম মীর: আমি বিশ্বাস করি, ডিজিটাল মার্কেটিং শুধু বেকারত্ব নয়, অর্থনীতির জন্যও বড় অবদান রাখবে। আমাদের তরুণদের যদি সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৫ সালের মধ্যেই আমরা একটি দক্ষ এবং প্রযুক্তিনির্ভর প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারব।
প্রতিবেদক: তরুণ প্রজন্মের প্রতি আপনার বার্তা কী?
নাঈম মীর: কখনো হাল ছেড়ো না। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা কঠিন নয়, তবে ধৈর্য ধরতে হবে। নিজেকে প্রস্তুত করো, নিরন্তর শিখতে থাকো, আর নিজের সামর্থ্যকে কাজে লাগাও।
প্রতিবেদক: ধন্যবাদ, নাঈম মীর।
নাঈম মীর: আপনাকেও ধন্যবাদ।
