Sat. Jul 12th, 2025
বালুচিত্র শিল্পকর্মে একটি অনন্য উদাহরণবালুচিত্র। ছবি : সংগৃহীত

গণপ্রহরী ডেস্ক : বালুচিত্র শিল্পকর্মে একটি অনন্য উদাহরণ। মৌলিক প্রাকৃতিক সম্পদগুলির অন্যতম হচ্ছে বালু। যা মানব জীবনে ব্যবহৃত হয়ে আসছে নানাভাবে। প্রাচীনকাল থেকেই বালু নির্মাণ, বাণিজ্য, এবং শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

বর্তমানে বালু একাধিক শিল্পে যেমন, কনস্ট্রাকশন, কাচ এবং সিরামিকসহ সকল ধরনের নির্মান কাজের জন্য ব্যবহৃত হলেও চিত্রশিল্পে বালু অবদান অনস্বীকার্য।

চলুন ছোট্ট করে জানা যাক চিত্রশিল্পে বালুর অবদান-

সৌন্দর্য বাড়াতে সমুদ্রসৈকতের বালুতে চিত্র আঁকার রেওয়াজটা অনেক দিনের। ইতিমধ্যে এটাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু এমনও শিল্পকর্ম আছে, যা আগে কখনোই দেখা যায়নি! বলছি জেমি হার্কিন্সের সৃজনশীলতার কথা। নিউজিল্যান্ডের এই আঁকিয়ে একজন সংগীতশিল্পীও বটে। বালুতে চমৎকার সব থ্রিডি ছবি এঁকে দর্শনার্থীদের রীতিমতো তাক লাগিয়ে দেন তিনি। দৃষ্টিবিভ্রম সৃষ্টি করা এ ছবিগুলো দেখে মনমুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায়ই থাকে না।

আরও পড়ুন- কথা মাজলে মোটা আর সুতা মাজলে চিকন

টুডি ছবিকে থ্রিডি দেখানোর কৌশলটা আসলে স্ট্রিট আর্ট বা পথচিত্রের কৌশলের মতোই। নাম ‘অ্যানামর্ফোসিস’। নামটা বেশ কাঠখোট্টা হলেও কাজটা কিন্তু মজার। এভাবে আঁকা কোনো ছবিকে নির্দিষ্ট স্থান থেকে দেখলে মনে হয় যেন সত্যিকারের কোনো বস্তু। ঘুরতে আসা অনেকের কাছেই হার্কিন্সের আঁকা চিত্রগুলো অর্থহীন দাগ হয়ে ঠেকলেও দূর থেকে দেখলে সেই দাগগুলোই রূপ নেয় পালতোলা নৌকা, ঘাট কিংবা সিঁড়িতে। হার্কিন্সের বিশেষত্বটা এখানেই, বাস্তবতা আর ছবির মধ্যে যে পার্থক্যটা থাকে সেটাকে দূর করতেই ছবির সঙ্গে তিনি বিভিন্নজনকে বিভিন্ন ভঙ্গিতে দাঁড় করিয়ে দেন। আর তাতেই কেল্লাফতে। বোঝার কোনো উপায়ই থাকে না যে সেটা ছবি।

‘সৈকতে বালুচিত্র তো অনেকেই করেন। কিন্তু ওগুলো ঘুরেফিরে ওই কয়েকটা জ্যামিতিক আকারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তাই এটাকে পুরোপুরি থ্রিডি করা যায় কি না ভাবতে থাকলাম। আর দিন শেষে জোয়ারের পানিতে সেটা ভেসে যাওয়ার ব্যাপারটা আমার বেশ ভালোই লাগে।’ দ্য নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড-এর কাছে এভাবেই অনুভূতি জানান জেমি হার্কিন্স।

কালে কালে নানান ক্ষেত্রে নতুন নতুন চিত্রকলার ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে। বর্তমান সময়ে বহুল আলোচিত চিত্রকর্ম হলো বালুচিত্র বা স্যান্ড পেইন্টিং। বালুকে কাজে লাগিয়ে যে চিত্রকর্ম তৈরি করা হয় তাই হলো মূলত বালুচিত্র বা স্যান্ড পেইন্টিং বা স্যান্ড আর্ট।

সমুদ্র সৈকতে বালু দিয়ে বা বালুতে তৈরি করা নানান চিত্র, মানুষের মাথা, ফুল, ভাষ্কর্য এসবই কিন্তু বালুচিত্র বা স্যান্ড পেইন্টিং। তবে স্যান্ড পেইন্টিংসের যে ক্ষেত্রটি বর্তমান সময়ে বেশি আলোচিত তা হলো এনিমেশন স্যান্ড পেইন্টিং।

আরও পড়ুন- পাখির নাম সাত ভায়লা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *