গণপ্রহরী ডেস্ক : গাইবান্ধার সাঘাটায় বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ হয়েছে। গাইবান্ধরের সাঘাটায় স্থানীয় ইসলামী জলসা আয়োজনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, উত্তেজনা ও সংঘর্ষ হয়েছে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ১৩ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যার ফলে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে
গাইবান্ধার সাঘাটায় বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ এর ঘটনা থেকে জানা যায়, উপজেলার ঘড়িদহ ইউনিয়নের সরদারপাড়া এলাকায় এক ইসলামী জলসায় গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে প্রধান অতিথি করা হয়।। বৈঠকের তারিখ ঘোষণা করা হয় ২৯শে ডিসেম্বর। পোস্টারে অতিথি হিসেবে বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় নেতাদের নামও ছিল। বিএনপির স্থানীয় নেতাদের নাম নিয়ে ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় জামায়াত সমর্থক আব্দুল আজিজ ও তার লোকজন গত ২৬ ডিসেম্বর আরেকটি ইসলামী জলসা আয়োজন করে।
সেখানেও গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে প্রধান অতিথি করা হয়। এই ইসলামী জলসার জন্য করা পোস্টারে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের নাম না থাকায় গত শুক্রবার দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে তর্কাতর্কি ও উত্তেজনা দেখা দেয়।। একপর্যায়ে গতকাল দুপুরে সাঘাটা বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।
এতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ঘুরিদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ তুলিপ, সাঘাটা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকিরুল ইসলাম, ঘুরিদহ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান, বাবু মিয়াসহ বিএনপির অন্তত ৬ ও জামায়াতের ৭ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত জামায়াত নেতাদের মধ্যে আব্দুল হান্নান ও জাহিদুল ইসলামসহ ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপি কর্মীদের মধ্যে জাকিরুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।। এ ব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলাম বাজারে। হঠাৎ তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে সাঘাটা উপজেলা জামায়াতের আমির ইব্রাহিম হোসেন ও সেক্রেটারি আব্দুল গফুরের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।। সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম জানান, দুই পক্ষেরই সদস্য আহত হয়েছে। আমরা তাদের শান্ত করেছি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।
