গণপ্রহরী ডেস্ক: ভারতরে দাদাগিরি আর এদেশে চলবে না। গণভবনে কে বসবে তার সিদ্ধান্ত দিল্লি থেকে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শিমরাইল মোড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত লিফলেট বিতরণ ও পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ ইস্যুতে আমরা আপসহীন। ভারতের দাদাগিরি এদেশে আর চলবে না। গণভবনে কে বসবে তার সিদ্ধান্ত আর দিল্লি থেকে আসবে না। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য সব ধরনের প্রক্রিয়া চলছে। মনে রাখতে হবে ঘাড় এবং তলোয়ার একসাথে থাকতে পারে না। বাংলাদেশে ঘাতক আওয়ামী লীগ আর আমরা বিপ্লবীরা কখনই একসাথে থাকতে পারি না। চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে হয় আওয়ামী লীগ থাকবে, নয়তোবা বিপ্লবীরা থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যার হাতে ২ হাজারের বেশি মানুষের রক্ত লেগে আছে, তাদেরকে সাথে নিয়ে যারা নির্বাচনে যাওয়ার কথা ভাবছে, তারা ভুল ভাবছেন। আমাদের লড়াই শেষ হয়নি, অব্যাহত থাকবে থাকবে শহীদ হওয়ার যাত্রা। সাঈদ মুগ্ধসহ আমাদের অনেক ভাই শহীদ হয়েছেন। হয়তো পরবর্তী শহীদদের খাতায় আমার নাম বা আপনার নাম থাকতে পারে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা চেয়েছিলাম ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে প্রতিটি খেটে খাওয়া জনসাধারণে অধিকার নিশ্চিত হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি পরিবর্তণ হয়েছে চাঁদবাজের। পরিবর্তণ হয়েছে দখলবাজের। তেল ও চালের দাম আকাশচুম্বী। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, তাহলে এই বিপ্লব থেকে আমরা কী পেলাম? আমাদের দেশের প্রবীণ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা এখন ক্ষমতার জন্য মহড়া দিচ্ছেন এবং প্রতিযোগিতা করছেন।
পথসভায় জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্থা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ, সহ-মুখপাত্র আরেফিন মুহাম্মদ হিজবুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য শওকত আলীসহ নারায়ণগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
