নিজস্ব প্রতিবেদক : গাইবান্ধায় ২৫ শিল্পীর গুনীজন সম্মাননা। জ্ঞানীজনদের মতে, ‘নানা গুণে গুণান্বিতরাই গুণীজন’। একটি ক্ষেত্রে পারদর্শী হলে সেই ক্ষেত্রে কৃতিত্ব অর্জনকারী। বিভিন্নজন বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারদর্শী হলে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কৃতিত্ব অর্জনকারীই বলা হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে গাইবান্ধা শিল্প একাডেমী বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্ব অর্জনকারীদের গুণীজন আখ্যায়িত করে প্রশংসিত ভূমিকাই পালন করেছেন। তার মূলে দুটি কারণ প্রধান। প্রথমত : নির্বাচিত গুণীজনরা বিশেষ একটি ক্ষেত্রে বিবেচিত হলেও তাঁদের প্রত্যেকেই একাধিক ক্ষেত্রে কৃতিত্বের অধিকারী। তবে কেওবা সামাজিক জীবনে আচার-আচরণ, বিনয়ের সাথে কথাবার্তাসহ বিভিন্ন দিক অনুকরণীয় (যা সকল গুণীজনদের জন্য আবশ্যকীয় শর্ত)। তাই সম্মাননা প্রাপক গুণীজনদের এবং প্রধান অতিথিসহ আয়োজকদের গণপ্রহরী পরিবারপক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন। সেই সাথে গণপ্রহরীর আশাবাদ থাকছে গাইবান্ধা জেলার প্রতিটি ঘরে ঘরে নতুন নতুন গুণীজনের জন্ম হোক, গুণীজনের জন্ম হোক দেশের সর্বত্র এবং রক্তার্জিত দেশটি হোক গুণীজনের দেশ। তবেই লাখ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ স্বার্থক হবে এবং স্বার্থক হোক।
এবার গাইবান্ধায় ২৫ শিল্পীর গুণীজন সম্মাননা পাওয়া নিয়ে প্রতিবেদন তুলে ধরছি-
গাইবান্ধায় ২০২০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত যন্ত্রসংগীত, চারুকলা, নৃত্যকলা, আবৃত্তি, আঞ্চলিক সৃজনশীল সংগঠন, যাত্রাশিল্প, লোকসংস্কৃতি, কণ্ঠসংগীত, ফটোগ্রাফী, চলচ্চিত্র, সৃজনশীল সংস্কৃতি গবেষক, নাট্যকলায় বিশেষ অবদান রাখায় ২৫ জন শিল্পীকে গুনীজন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমেদের আন্তরিকতায় ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার কর্তৃক এই সম্মাননা প্রদান মাধ্যমে চমৎকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
সম্মাননা হস্তান্তর করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রখ্যাত নজরুল সংগীত শিল্পী ও সংস্কৃতিজন ফাতেমা তুজ জোহরা।
সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যাক্তিরা হলেন- আসাদুজ্জামান খান, শেখ মাজেদুল আবেদীন অপু, স্বপন কুমার সাহা, একেএম রশিদুন্নবী পিটু, আলাল আহমেদ, রহিমা খানম ঝুমুর, জাকির হোসেন খান, ময়নুল হোসেন, ফজলুর রহমান, শেখ জিয়াউল করিম টিপু, রফিকুল হাসান স্বপন চৌধুরী, দেওয়ান দরছ আলী, রেজাউল আমিন আনিছ, তোজাম্মেল হক সরকার, দুলাল সরকার দোলন৷ সিরাজুল ইসলাম সোনা, বিষ্ণু কুমার, আশীষ কুমার সরকার, আবু বকর সিদ্দিক, গৌতমাশিষ গুহ সরকার, ডা. এজাজুল ইসলাম, মোকাদেচ্ছুর রহমান খাজা সুজন, ড. আতাউর রহমান, মোহাম্মদ আমিন, হানিফ বেলাল।
অনুষ্ঠানটিতে সঞ্চালনা করেন- সাংস্কৃতিক সংগঠক শিরীন আক্তার ও শফিকুল ইসলাম রুবেল। শিল্পীদেরকে সম্মাননা হিসেবে ফুল, উত্তরীয়, মেডেল ও সম্মানি অর্থ প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি ও গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আসাদুজ্জামান সরকারসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জেলা শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য শিল্পীরা আজি ঝর ঝর মুখর বাদল দিনে নৃত্য পরিবেশন করে এবং গানের তালে তালে অতিথিদের মঞ্চে নিয়ে যায়। পরে প্রধান অতিথিকে উত্তরীয় পরিধান করান গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ।
আর পড়ুন- কোন দোষে রংপুরাঞ্চলবাসী বিশেষ ট্রেন বঞ্চিত
