ষ্টাফ রিপোর্টার : টিসিবির লাইনে জনগণ বিমর্ষ কেন? পণ্য সরবরাহ কম এবং ব্যবস্থাপনা দুর্বল। এবং সরবারাহ কেন্দ্র কম হওয়ায় জনগণকে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা ও পণ্য না পাওয়ায়ই জনগণ বিমর্ষ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য শর্তের রাষ্ট্রীয় সংস্কার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। আন্দোল-সংগ্রাম করতে করতে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত। তদুপরি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ব্যস্ত নির্বাচন নিয়ে। কোন পক্ষেরই সময় নেই জানার বা শোনার। জনগণ কেমন আছেন। কি ভাবে সংসার জীবন পারি দিচ্ছেন। তা জানার প্রতি গুরুত্বও নেই। তারা জানেন দ্রব্যমূল্য কমাতে টিসিবির পন্য সরবরাহ করা হচ্ছে। তারপরতো জনগণকে টিসিবির পণ্য বিক্রির পন্যবাহী ট্রাকের কাছে লাইনে দাঁড়িয়ে জনগণ বিমর্ষ থাকার কথা নয়!
সরকার ব্যস্ত না হয়ে উপায় নেই। ছাত্র জনতার গণঅভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে যেহেতু ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্ত যে সময় দায়িত্ব নিয়েছেন তখন সর্বক্ষেত্রে অপশাসনে রাষ্ট্র তার নিজস্ব স্বকীয়তাই হারিয়ে ফেলেছিল। ফলে ক্ষমতা গ্রহণ অর্থই রাষ্ট্রীয় সংস্কার কাজের দায়িত্বই স্বাভাবিকভাবেই প্রধান। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাঁরা বেশীর ভাগই জ্ঞানী-গুণী হওয়ায় রাজনৈতিক দর্শন ও ইতিহাস পড়াশুনা থাকলেও রাষ্ট্রপরিচালনার অভিজ্ঞতা জ্ঞানানুসারে যথেষ্ট নয়। বরং রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাব ও বাস্তব প্রয়োগে অর্জিত দক্ষতার ঘাটতিতো রয়েছেই। উপরন্ত রাষ্ট্রযন্ত্রে রয়েছে স্বৈরাচারের দোসররা। যে কারণে প্রশ্নের উদ্ভব টিসিবির লাইনে জনগণ বিমর্ষ কেন (?)
এদিকে রাজনীতিকরা দ্রুত নির্বাচন প্রাধান্যের সংস্কার নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু জনগণের দুঃখ দুর্দশা দূরিকরনে, সরকারের কি করণীয় তা নিয়ে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন কি-না, তা এই প্রতিবেদকের জানা নেই। দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়ার পায়ের তলায় পিষ্ট স্বল্প আয়ের মানুষ তথা-গরীব-সর্বহারা, নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারের পক্ষে কতটা করা সম্ভম। তা বিবেচনায় নিয়ে, জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারকে করণীয় নিয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানা নেই। জানা নেই নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দকে যদি জিঙ্গাসা করা যায়, ‘এখনতো স্বৈরাচার নেই; তা জনগণ কেমন আছেন? এবং টিসিবির লাইনে জনগণ বিমর্ষ কেন?
উত্থাপিত প্রশ্নগুলো ভূক্তভোগী জনগণেরই। সেহেতু জনগণের উদ্দেশ্যে এ বিষয়ে এবং জনগণকে অসহনীয় দ্রব্যমূল্যের হাত থেকে রক্ষায় রাজনীতিকদের ভূমিকা বিষয় জনগণকে অবগত করবেন। এ আশাবাদ জনগণের ও আমাদেরও।
নাকি পতিত স্বৈাচারের অংশীদার স্বৈরশাসনামলের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, ‘ইউরোপীয়দের জীবনমানের সমান দেশের চার কোটি মানুষের জীবনমান। এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম বাড়লেও দেশবাসীর তা কেনার সামর্থ্য আছে’। এমনটা যদি রাজনীতিকদের মনের এক কোনায় থেকে থাকে, তবে নিজগুনে প্রতিবেদনটি বিবেচনা করবেন। এবং জনগণকে রাক্ষায় যথাযথ ভূমিকা নিবেন। আমরা, টিসিবির লাইনে জনগণ বিমর্ষ কেন ? এমন উত্থাপিত প্রশ্ন প্রতিবেদন করতে চাই না।
সর্বজন স্বীকৃত যে, স্বৈরাচারের দোসর সিন্ডেকেটগুলো এখনও বাজার ব্যবস্থায় কার্যকর। ফলে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে। যদিও এ কথাও সবারই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। সেই জনগণকে দুর্ভোগে রেখে এ মূহুর্তে নির্বাচন দিলেও ভারতের মদদে পতিত স্বৈারাচারের হোতা ভারতের মাটিতে বসে যেষড়যন্ত্র করছে তাতে ছাত্র জনতার গণঅভ্যূত্থানে অংশ গ্রহনের মধ্যে দিয়ে যেভাবে সম্মিলিত ভূমিকা পালন করে বিজয় অর্জিত হয়েছে। তেমনি সম্মিলিত ভূমিকা প্রয়োজন। তাই সিন্ডিকেট গুড়িয়ে দিতে হবে। টিসিবির পণ্য সরবরাহ পরিমান বৃদ্ধির পাশাপাশি সরবরাহ কেন্দ্র বাড়াতে হবে এবং সুষ্ঠভাবে নির্ধারিত মূল্যে বিতরন করতে হবে। তবে উত্থাপিত হবে না, টিসিবির লাইনে জনগণ বিমর্ষ কেন।
