গণপ্রহরী ডেস্ক: ভূতের মুখে রাম নাম। পতিত স্বৈরাচারের প্রথমে তথ্যমন্ত্রী ও সর্বশেষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির সাথে তার আওয়ামীলীগ পরীক্ষিত স্বৈরাচারী দল কাজ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন, একটি চ্যানেলকে। খবরটি প্রচারের পর অনেকেই ধিক্কার দিয়ে বলেছেন, আওয়ামীলীগকে বিশ্বাস করা যায় না। আবার অনেকে তাচ্ছিল্য করে, কেওবা রসিকতা করে মন্তব্য করেছেন হাছান মাহমুদের কথা ‘ভুতের মুখে রাম নাম’ এর সামিল।
লণ্ডন ভিত্তিক টেলিভিশন ‘চ্যানেল এস’ হাছান মাহমুদের এক সাক্ষাতকার প্রচার করেছে। সেই সূত্র ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই খবর প্রচার করে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি দৈনিককে বলেছেন, তাঁদের ব্যক্তিগতভাবে বলা কথা কেন আওয়ামীলীগের কথাই মানুষ বিশ্বাস করে না। প্রসঙ্গত অগনিত মানুষের মুখ থেকে বেরিয়ে ভেসে বেড়ানো ‘প্রবাদটি’ মির্জা ফখরুলও বলেছেন।
সচেতন পাঠকদের অনেকেরই মনে আছে, ক্ষমতা থেকে বিতারিত হওয়ার আগে গত বছরের নভেম্বরের ১৫ তারিখে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাছান মাহমুদই রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেছেন, রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ হতে পারে। কিন্তু মানুষ পুড়িয়ে মারা সন্ত্রাসীদের সাতে হতে পারে না কোন সংলাপ বা আলোচনা। অর্থাৎ দেশের শত্রুদের সাথে কোন আলোচনা হতে পারে না। এমনকি বিএনপি জামায়তের মতো খুনিদের দলের সাথে আলোচনার প্রশ্নই আসে না। তবে আজ কেন ‘ভূতের মুখে রাম নাম’ প্রবাদের মতো বিএনপির সাথে কাজ করতে আগ্রী? লজ্জা-শরমের বালাই নাই কি- এমন নানা কথা নানা মত জনমনে।
যদিও বিএনপি মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাছান মাহমুদের কথঅ কেন আওয়ামীলীগের কথাই বিশ্বাস করা যায় না উল্লেখ করে এক সাথে কাজ করে বিষয়টি নাকচ করেছেন। তার সমালোচনা চলছে জনগণের মধ্যে। হয়তো এমন সমালোচনা সূত্র ধরেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্নাকারে বলেছেন, বর্তমানে আপনাদের কাছে কি এমন ইঙ্গিত পেল- ফ্যাসিস্টরা কাজ করতে চায় বিএনপির সঙ্গে? তিনি বলেছেন, বিএনপিসহ যে রাজনৈতিক দলগুলো গত ১৬ বছর আন্দালন করেছে তাদের কাছে এমনটা কাম্য নয়। বরং তাদের কাছে অনেক প্রত্যাশা আমাদের জনগণের। বিএনপির সাধারণ সমর্থকদের মধ্যেও কম-বেশি এমন প্রশ্ন আলোচিত হচ্ছে। আওয়ামীলীগের সাথে বিএনপির এমন ইঙ্গিত কোন প্রকার সমঝোতা অনেকেরই কাম্য নয়।
