ভাষ্যকার : রক্তাক্ত গোপালগঞ্জের ঘটনা শহীদি আত্মার ভাবনারই প্রকাশ। গোপালগঞ্জ কি শুধুই বাংলাদেশের একটি জেলা? বাংলাদেশের জনগণ কি বলতে পারবেন- গোপালগঞ্জ সবার? হ্যা, তা পারবেনই বটে। বলেছেনও এবং বলছিও। কিন্তু প্রতিবেশী উগ্রহিন্দুত্ববাদী-মৌলবাদী নরেন্দ্রমোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি’র অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নে, অনুগত রাষ্ট্র হিসেবে ব্যবহৃত বাংলাদেশকে, অনুগত রাষ্ট্রে পরিণত করা নেতা ও কথিত স্বাধীনতার নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও আওয়ামীলীগ নেতা শেখ হাসিনার ‘জন্ম’ রক্তাক্ত গোপালগঞ্জেই। সেহেতু নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগ ও শেখ হাসিনার নিরাপদ আশ্রয়দাতা ভারতের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ। যে কারণে ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ‘হারানো স্বর্গ’ ফিরে পাওয়ার এক বছরের প্রস্তুতি শেষে রক্তের হলিখেলার সূচনা পর্বই রক্তাক্ত গোপালগঞ্জের ঘটনা।
রক্তাক্ত গোপালগঞ্জের ঘটনা : শহীদি আত্মার ভাবনারই প্রকাশ। ভাষ্যকারের আজকের ভাষ্যে জ্ঞানী-মহাজ্ঞানী, পণ্ডিত-বুদ্ধিজীবি এবং এমন খ্যাতিসম্পন্ন রাজনীতিক, সামাজিক-সাংষ্কৃতিক ও বিভিন্ন দলমতের অনেকে বিরাগভাজন হতে পারেন। তা হতেই পারেন। তবুও বাক-স্বাধীনতা ও মতামত প্রকাশের যে স্বাধীনতা পাওয়া গেছে, সেই স্বাধীনতার অপব্যবহার না করলেও স্বাধীনতার সদ্ব্যব্যবহারের সুযোগ কাজে লাগাতেই এই নাদান ভাষ্যকারের আজকের ভাষ্য। আওয়ামীলীগ যেমন সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা এবং উন্নয়নের নামে বাংলাদেশকে ভারতের অনুগত রাষ্ট্র করেছিল। সেই সংবিধানই আওয়ামীলীগ ও তার দোসরদের মাঠে নামানোর সুযোগ সৃষ্টি করেছে, নিষিদ্ধ হয়েছে একটি দল, দোসর অন্যদলগুলো নয়, ব্যক্তিও নয়। পক্ষান্তরে জাতীয় ঐক্যে দুরুত্ব সৃষ্টি। এরই ফলশ্রুতিতে গোপালগঞ্জের ঘটনা। এ পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি শহীদি আত্মার কাম্য-মতাদর্শগত কারণে বিদ্বেষ ছড়ানো নয়, দ্বন্দ্ব ও সংঘাত নয়, জাতীয় সরকার গঠনকে সামনে রেখে জাতীয় ঐক্য।
আরও পড়ুন- শহীদি আত্মাদের যেন ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে (!)
কোটা সংষ্কারকে কেন্দ্র করে চব্বিশের আন্দোলনে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তসহ উচ্চবিত্তের শিক্ষিত বেকার ছাত্র-যুবকদের মূলত স্বার্থ ছিল। সহজ সরল ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ’ ভূমিহীন-গরীব সর্বহারা ও নিম্নবিত্ত মানুষের তেমন স্বার্থ ছিল না। কিন্তু ‘বৈষম্য বিরোধী’ শব্দ দুটিকে ভিত্তি ভেবেই বৈষম্যের শিকার সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রেনীর শ্রমজীবি-কর্মজীবি সাধারণ মানুষ আন্দোলনে অংশগ্রহন করেন, বৈষম্যের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রত্যাশায়। অকাতরে জীবন দেন শিশু থেকে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। সেই রক্তের বিনিময়ে সফল হয় গণঅভ্যূত্থান। কিন্তু ৮ আগস্ট শহীদের রক্তপথ বেয়ে যারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা হতে যান তাঁরা পতিত স্বৈরাচারের বৈষম্য সৃষ্টির সংবিধান রক্ষারই শপথ নেন। সেই রাষ্ট্র কাঠামো বা ব্যবস্থা বহাল তবিয়তে রয়েছে। এই বাস্তবতাই জানান দেয়-বৈষম্যমুক্ত সমাজের রাষ্ট্র ব্যবস্থা হওয়ার সম্ভাবনা শহীদদের রক্তস্রোতে ভাসমান। বাহাত্তরের সংবিধান ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সংশোধিত সংবিধান ৫৩ বছরেও লাখ লাখ শহীদের জীবনের বিনিময়ের মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করেনি ও করতে পারেনি। সেই সংবিধান ও রাষ্ট্র সংষ্কারের লক্ষ্যে সংষ্কারাধীন সংবিধান বৈষম্যমুক্ত সমাজ করতে পারবে না, প্রত্যাশা পূরণে প্রয়োজন সমাজ ব্যবস্থা বদলের সংষ্কার। এমন ভাবনাই যেন পেয়ে বসে শহীদি আত্মাকে। যার বহি:প্রকাশ রক্তাক্ত গোপালগঞ্জ। প্রাণ গেল ৫ জনের। দায় দায়িত্ব কার ওপর বর্তাবে- এ প্রশ্ন নতুন করে উত্থাপিত। আঙ্গুল তুলছে সরকারের দিকে। কেননা ঘটনা পরিকল্পিত।
সম্মানিত পাঠকও নিশ্চয়ই বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে এই ভাষ্যের সাথে একমত না হলেও, বিবেক-বিবেচনায় দ্বিমত পোষণ করতে পারবেন না। কেননা, এক বছরেও বৈষম্যমুক্ত সমাজের রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ার জোরালো বক্তব্যই কোন দলের পক্ষেই উচ্চারিত হচ্ছে না। বরং ঘুরে ফিরে সংবিধান ও সংবিধানের ধারাবাহিকতার কথাই আসছে। এবং যাদের নেতৃত্বে বৈষম্যমুক্ত সমাজের প্রত্যাশা তাঁদের দলও মধ্যপন্থার। একইভাবে সফল গণঅভ্যূত্থানকে কেও গণবিপ্লব, কেও বিপ্লব আখ্যায়িত করেছেন, এখনও করছেন। বিপ্লব বা গণবিপ্লব বলতে জ্ঞানী-মহাজ্ঞানীরা যা-ই ভাবেন, যাই বলেন ও ব্যাখ্যা বা উদ্বৃতি দেন, বিপ্লব অর্থ পুরো পরিবর্তন, তা হয়নি বরং নতুন বোতলে পুরনো মদ ভরার মতই সংষ্কার। অথচ শহীদি আত্মারা তাঁদের জীবন দিয়েছেন বৈষম্যমুক্ত সমাজের রাষ্ট্রের জন্য। অর্থাৎ সমাজ ব্যবস্থা বদলে যেহেতু রাষ্ট্র ব্যবস্থাও পরিবর্তন হয়। সে রাষ্ট্র মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, বাক-স্বাধীনতা নিশ্চিয়তা দিবে বা থাকবে। সেক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যের শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠন করার মধ্য দিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। কিন্তু ইতিহাসের অতীত গণঅভ্যূত্থান ও তত্বাবধায়ক সরকার গঠন থেকে শিক্ষা না নিয়ে নিজেদের ইতিহাস সৃষ্টির প্রচেষ্টায় সংষ্কার করা নিয়েই বছর পার। অথচ লক্ষ্য অর্জনেতো দূরের কথা ক্ষমতার মোহে জাতীয় ঐক্যের মাঝে নির্বাচন কেন্দ্রিক ও দলীয় মতাদর্শগত কারণে ইতিমধ্যে এক দলের সাথে আরেক দলের দূরত্ব তৈরী হয়েছে। এটাই ছিল ভারত ও আওয়ামী দৃর্বৃত্তদের চাওয়া। যে দূরুত্ব দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। জাতীয় ঐক্যকে কেন্দ্র করেই শহীদি আত্মারা জীবন দিয়েছেন। সেই জীবনের বিনিময়েই স্বৈরাচারের পতন।
আরও পড়ুন- সেনাবাহিনীর বার্তা প্রশংসনীয় বটে
জনগণ জীবন দিয়ে বুঝেছেন ও নিশ্চিত হয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য এবং চব্বিশের গণঅভ্যূত্থানের প্রত্যাশার বৈষম্যমুক্ত সমাজের রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভারত, পাকিস্তান, রাশিয়া, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব ইরোপীয় ইউনিয়ন ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সমূহ কেউই চায় না, চাবে না, চাইতে পারে না। সে কারণেই শহীদরা জীবন দিয়েছেন নিজেদের লক্ষ্য ও প্রত্যাশা পূরণে, আমার মতো নাদানের এসব আলোচনা বেমানান। তাই শহীদি আত্মার ভাবনার ভিত্তিতে রক্তাক্ত গোপালগঞ্জের পিছনের রহস্য কি, সে নিয়েই পাঠকের সাথে সহজ-সরল কথায় মতামত বিনিময় করার চেষ্টা করা যাক। তার আগে সফল গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের রক্তপথ বেয়ে ক্ষমতাসীন হওয়া অন্তর্বর্তী সরকার এর প্রতি আকুল আবেদন এবং স্বৈরাচার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বের প্রতি বিণীত অনুরোধ জানাচ্ছি, –‘দোহাই আর এক মুহুর্ত সময় অপচয় নয়, এ মুহুর্তেই দেশের রক্তার্জিত স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা ও হুমকিমুক্ত রাখতে জাতীয় গোলটেবিল বৈঠকে বসার পদক্ষেপ নিন। একইভাবে রাজনৈতিক দলসমূহকে নিজেদের উদ্যোগে জনগণকে আস্বস্ত করতে এক টেবিলে বসুন এবং সেখান থেকে প্রধান উপদেষ্টার সাথে মিলিত হয়ে বিশ্বকে জানান দিন- ‘নির্বাচন ও সংষ্কার প্রশ্নে দল সমূহের মতাদর্শগত ও নির্বাচনী কৌশলগত কারণে একের সাথে অপরের কিছুটা দূরুত্ব সৃষ্টি হলেও জাতীয় প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ’। সেই সাথে যে গোপালগঞ্জ থেকে অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর-উগ্রহিন্দুত্ববাদী-মৌলবাদী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার তথা ‘সাম্রাজ্যবাদ হিসেবে’ আত্মপ্রকাশে সচেষ্ট সেই সম্প্রসারণবাদী ভারত তার হারানো স্বর্গ ফিরে পাওয়ার জন্য আওয়ামীলীগ ও তাঁর দোসরদের ক্ষমতাসীন করার নকশা বাস্তবায়নের উদ্যোগ হিসেবে গোপালগঞ্জে সশস্ত্র সংঘাতের সূত্রপাত করেছে, সেই গোপলগঞ্জে (বিভাগীয়ভাবে) সর্বদলীয় সভার আয়োজন করুন। এক্ষেত্রে বড় দল হিসেবে বিএনপি ও স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের দল এনসিপি’র উদ্যোগ ভাষ্যকারের কাম্য।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য- অনস্বীকার্য যে, সাম্রাজ্যবাদী-পুঁজিবাদী বিশ্ব ব্যবস্থায় বৃহৎ শক্তিধর দেশগুলো ছোট-মাঝারি দেশ সমূহে আধিপত্য বিস্তার ও বাজার দখলে দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও যুদ্ধ চাপিয়ে দিতে দ্বিধা করছে না। সে পরিস্থিতিতে তাদের কূটনৈতিক তৎপরতাও বিদ্যমান। স্বরণ সাপেক্ষ যে, ‘ব্যক্তির উর্ধ্বে সংগঠন আর সংগঠনের উর্ধ্বে দেশ’। এই ঐতিহাসিক বাস্তবতায় শহীদদের আত্মত্যাগকে স্বার্থক করতে দলীয় সংকীর্নতায় বিভেদ বা দূরুত্ব নয়, জাতীয় স্বার্থে সর্বদলীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। দলীয় মতাদর্শগত পার্থক্য ভিত্তিতে সমালোচনা-প্রয়োজনে পর্যালোচনা-আলোচনা এবং দলীয় সভায় আত্মসমালোচনা আবশ্যক। তাতে জনগণ রাজনৈতিক দল সমূহের জাতীয় ঐক্যকে শক্তি হিসেবে বিবেচনা করে রাজপথে নামতে দ্বিধা করবেন না, অতীতেও করেননি ও ভবিষ্যতেও করবেন না। যে জনগণের জন্য রাজনীতি করছেন, সেই জনগণকে রাষ্ট্রের মালিক বিবেচনা করতে হবে। সেহেতু জনগণের শিক্ষক নন রাজনীতিবিদরা, জনগণের চাওয়া-পাওয়া বিষয়ক সহজ সরল কথাই তাঁদেরই শিক্ষার বিষয়। জনশক্তি বুঝতে হবে সকলকে। ৫ আগষ্ট আবারো প্রমাণ করেছে জনশক্তির ক্ষমতা কতটা। যে কারণে ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয়, জনগণ, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।
আরও পড়ুন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রিয় আহ্বায়ক কমিটি চ্যালেঞ্জের মুখে, যদিও-
পরিশেষে, পাঠকের সাথে আবারো মত বিনিময়ের শেষ পর্যায়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, গোপালগঞ্জের ঘটনাকে দলগুলোর মধ্যে পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করে জাতীয় ঐক্যে যতটা বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে, সেটাকে সুযোগ ধরে নিয়েছে সংঘর্ষকারীরা। যে বিভক্তি সৃষ্টিতে ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ পরিচালিত অপতৎপরতা শুরু থেকেই চলমান। একইভাবে সংবিধান মতে সৃষ্ট সুযোগ বলে আওয়ামীলীগ ও তার দোসর দলগুলো রাষ্ট্র কাঠামোতে থাকা দুর্নীতিবাজ আমলাদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে ভূমিকা রাখছে ‘র’। বিভক্তি সৃষ্টির ষড়যন্ত্রকে পদদলিত করতে হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখ বীর যোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ওপর হামলার আগেই পুলিশের গাড়ীতে সশস্ত্র হামলা, যুদ্ধ ক্ষেত্রের মতো বিভিন্ন সড়ক পথে বেরিকেড সৃষ্টি ও আক্রমন, সবই যেন বলছে, রক্তাক্ত গোপালগঞ্জ ছিল রণক্ষেত্র। সেই রণক্ষেত্রে এনসিপির সফল সমাবেশ পণ্ড করতে হামলা করা হয়েছে, যা দু:খজনক ও নিন্দনীয়। তবে রণক্ষেত্রের ঘটনাবলী স্বাক্ষ্য দিচ্ছে-গণপ্রহরীর একাধিক লেখায় পাঠক নিশ্চয়ই দেখেছেন ‘গোড়ায় গলদ থাকলে’- এর চেয়েও ভয়াবহ কিছু ঘটলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। গোপালগঞ্জ প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার জনগণকে বোকা ভেবেই বলছেন, তারা ধারণা করতে পারেননি এতটা হবে। যে সংবিধান রক্ষায় শপথ এবং যে সংবিধান মতে রাষ্ট্র চলছে ও রাষ্ট্র কাঠামো বিদ্যমান, তাতো পতিত স্বৈরাচারেরই আবিষ্কার। স্বৈরাচার একক নয়, তার দোসর রাজনৈতিক দলগুলোসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তব্যাক্তিসহ দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অনেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদাতা ভারতের ইশারায় ঐক্যবদ্ধ ও তৎপর। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যকে গলাটিপে হত্যা করেছে ভারত ও আওয়ামীলীগ এবং বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করছে বঙ্গবন্ধু নিজে ও শেষবারে হত্যা করেছে তারই ক্ষমতা লোভী কন্যা শেখ হাসিনা। আওয়ামীলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যা উপলব্ধি করেছেন। এতে করে শক্তি প্রদর্শন এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন দলে অনুপ্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তাই এখনই সময় জাতীয় ঐক্যকে সদৃঢ় করে রক্তাক্ত গোপালগঞ্জের পুনরাবৃত্তির অপচেষ্টা যেখানে (গোপালগঞ্জ) শুরু সেখানে সমাপ্ত করতে হবে। আর তা করতে জাতীয় সরকার গঠনকে মুখ্য বিবেচনা করেই দ্রুত সময়ের ‘নির্বাচন’কেও গৌণ বিবেচনা করতে হবে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে।
