গণপ্রহরী ডেস্ক : লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীনের আত্মার শান্তি কামনায় গণপ্রহরী। লালন সম্রাজ্ঞীখ্যাত লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই। বিশ্ব দরবারে তিনি আর সাঁইয়ের বাণী ও সুর প্রচার করবেন না্ গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রাত সোয়া দশটায় রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। বাংলাদেশের লালন সম্রাজ্ঞীখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীনের আত্মার শান্তি কামনায় গণপ্রহরী।
গানপ্রিয় মানুষ ও শিল্পী-সুরকার গান রচয়িতা-লেখক ও সুর সাধকরা এবং দেশের আপামর মানুষের স্বীকার্য যে, লালন সাঁইজির গানের বাণী ও সুর জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালনকারী ছিলেন বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন। লালন সংগীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৭ সালে শিল্পী ফরিদা পারভীনকে একুশে পদকে ভূষিত করেন। প্রেম চলচ্চিত্রে পরিবেশিত নিন্দার কাঁটা গানটির জন্য নারী সংগীত শিল্পী হিসেবে ১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরুষ্কারে পুরুষ্কৃত হন।
এই বরেণ্য শিল্পী কিডনী ও ডায়াবেটিসসহ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিল বেশ কিছুদিন থেকে। তাঁর পরিবার ও সংগীত ক্ষেত্রের সূত্র থেকে অনেকেরই মতে, বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারলে হয়তো তিনি সংগীতপ্রিয় মানুষকে ছেড়ে পরপারে চলে যেতেন না। এমন মতামত প্রেক্ষিতেই জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে সাংবাদিকরা জেনেছেন, তাঁর পরিবার পক্ষে শিল্পীর চিকিৎসার সব খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না মর্মে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার ২ সেপ্টেম্বর লোকসংগীতের বরেণ্য এই শিল্পী হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ছিলেন লাইফ সাপোর্টে। অবশেষে ১৩ সেপ্টেম্বর শিল্পীর জীবন প্রদীপ নিভে যায়।
ফরিদা পারভীনের সংগীত জীবন শুরু হয়েছিল নজরুল সংগীত ও দেশাত্মবোধক গান দিয়ে। একসময় তিনি লালন সংগীতে মনোনিবেশ করেন। তখন থেকে লালন সংগীতই তাঁর ধ্যান ও জ্ঞানে পরিণত হয়। তিনি বাংলাদেশ থেকে বিশ্ব দরবারে লালন সাঁইজির বাণীন ও সুর প্রচারে নিয়োজিত হন। লালন সম্রাজ্ঞীখ্যাত বরেণ্য সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন জাপান, কানাডা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক ও সুইডেনসহ বিভিন্ন দেশে লালন সংগীত পরিবেশন করে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। ফরিদা পারভীন ২০০৮ সালে জাপানের ফুকুওয়াকা পুরুষ্কার লাভ করেন।
