Sun. Jul 13th, 2025
সেনাবাহিনীর সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে- সেনাপ্রধানসেনাবাহিনীর সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে- সেনাপ্রধান

নিউজ ডেস্ক : সেনাবাহিনীর সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের দেশের অহংকার। সকল সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে উদযাপন করতে পারে সেজন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের খুশির বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর কাকরাইলে আর্চবিশপ হাউস পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি খ্রিস্টানদের মেরি ক্রিসমাস শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এছাড়াও তিনি দৃঢ়ভাবে আশা করেন যে, মেরি ক্রিসমাস উদযাপনে অন্য সকল সম্প্রদায়ের জনগণ খ্রিস্টানদের আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করবে এবং একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ গড়তে সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে এগিয়ে আসবে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ছিল উৎসব ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’। এই ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা যিশু খ্রিস্টের জন্ম বেথলেহেমে। খ্রিস্টানরা এই দিনটিকে ‘মেরি ক্রিসমাস’ হিসেবে পালন করে।

অন্যদিকে,

পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা বলেছেন যে, ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাথে সেনাপ্রধানের বৈঠক গোপনীয় নয়।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) খামারবাড়ি কৃষি ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ক জাতীয় সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় বাংলাদেশের স্বার্থ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক অধিবেশনে এ সংলাপে বক্তব্য রাখেন তৌহিদ হোসেন।

পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বৈঠক গোপনীয় ছিল না। আমরা এই বৈঠক সম্পর্কে অবগত।

উল্লেখ্য, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী গত ৯ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) যোগ দিতে ঢাকায় আসেন। এ সময় তিনি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে বৈঠক করেন।

২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার, রুমা সেনা জোন (৩৮ বেঙ্গল) এর তত্ত্বাবধানে মানবিক অভিযান পরিচালিত হয়।

কপ্লংপাড়া এলাকার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্থানীয় গীর্জায় ছোট বাচ্চাদের মাঝে বাইবেল ও খেলনা বিতরণ করেন রুমা আর্মি জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।

এছাড়াও শীতের তীব্রতা মোকাবেলায় দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী। 

এদিকে বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মানবিক কর্মকাণ্ড স্থানীয় জনসাধারণের কাছে ভূয়সী প্রশংসা করেছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এ সময় উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আপনারা সবাই পার্বত্য এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরাপত্তা বাহিনীকে সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছেন।। ভবিষ্যতেও এটা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী। শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নই এ অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষের মূলমন্ত্র। আমি আশাবাদী যে সকল জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতির সাথে বসবাস করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *