Thu. Mar 27th, 2025
আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে আমাদের কথাআমাদের কথা : সম্পাদকীয়

আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে ‘আমাদের কথা’ লেখার শুরুতেই প্রধান উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা উন্নতিতে পরিকল্পিত পরিকল্পনা মতে, ‘জোরদার অভিযানে’র সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত ‘কোর কমিটি’র সম্মানিত সদস্যবর্গের মুখে ’ফুলচন্দন’ পড়ুক-কামনা করছি। সেই সাথে সিদ্ধান্ত যেন আলোচনার মধ্যে এবং সংবাদ সম্মেলনে, ’কথার কথা’- এর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে মানুষের মনে, স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়ে ‘প্রশংসিত’ হোন। মানুষ যেমনি অস্বস্তিতে আছেন; তেমনি যেন উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় প্রতিটি মুহূর্ত কাটাচ্ছেন। কারণ, দেশের রাজধানীতেই বেপরোয়া ছিনতাই, ডাকাতি, চুরি, রাহাজানি ও ধর্ষনের মতো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। তা যেন সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থাই দেশবাসীকে অবগত করছে। যা কারও কাম্য নয়।

‘আইশৃঙ্খলা বিষয়ে আমাদের কথা’ প্রাসঙ্গিক এ মূহুর্তের আলোচনায় অবশ্যই দৃঢ়তার সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, যতক্ষণ না কোর কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসবে এবং উল্লেখিত অপরাধ বন্ধ না হবে; ততক্ষন বলতেও বাধ্য হতে হবে যে, সরকারের পদক্ষেপে  ঘাটতি ছিল। যে কারণে ‘ডেভিল হান্ট’ নামে দুই সপ্তাহকালের অভিযান চলাকালে গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘স্থান’ পাওয়া অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটিকে আইনশৃঙ্খলার উন্নতিতে অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি পরিকল্পনা সংক্রান্ত আরও কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। গনপ্রহরীর ‘প্রধান সম্পাদক’ দেশের বিভিন্ন পরিস্থিতি প্রাসঙ্গিক লেখায় প্রচলিত কিছু ‘প্রবাদ’ প্রায় লেখাতেই ব্যবহার করে থাকেন। যেমন ‘গাছ তোর নাম কি ফলে পরিচয়’ ইত্যাদি। সে প্রেক্ষিতে নতুন সিদ্ধান্তের সফলতা কামনা করেই বলতে হয়- ‘অভিযানের সফলতা বলে দিবে ‘গাছের নাম কি’। অর্থাৎ কতটা সফলতা অর্জিত হলো ।

আরও পড়ুন- বাড়ির গেটে রোজা খাদ্যসামগ্রীর নিশ্চয়তা আবশ্যক

তবে হ্যাঁ, ‘আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে আমাদের কথা’ শীর্ষক আজকের নিয়মিত সম্পাদকীয় কলামে আশার দিক হলো- প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের ‘প্রধান উপদেষ্টা’ নামে পরিচালিত ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার প্রদত্ত এক পোস্টে জানানো হয়েছে, দেশের বিদ্যমান (বর্তমান) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত ‘কোর কমিটি’ কিছু এলাকায় জোরদার অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সহজেই অনুমেয় যে, তিনি, কোর কমিটির সিদ্ধান্তে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। স্বারাষ্ট্র উপদেষ্টা লে: জেনারেল (অব:) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কোর কমিটির সভায় পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত সমূহের মধ্যে সেনাবাহিনী, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও বিজিবি সদস্যদের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী গঠন করে রাজধানীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ও অপরাধ প্রবণ এলাকায় তল্লাশি চৌকি ও টহল বাড়ানো হবে। পাশাপাশি নৌবাহিনীর অতিরিক্ত পেট্রোল থাকবে রাজধানীর কটি এলাকায়; এবং কিছু এলাকায় নিয়োজিত থাকবে কোষ্টগার্ডের অতিরিক্ত পেট্রোল। বাংলাদেশ পুলিশের ইউনিট প্রধান ও উপপুলিশ কমিশনার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে মাঠে নিয়োজিত ব্রিগেড প্রধানগন ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে প্রয়োজনীয় বিষয়াদি অবগত করবেন। অভিযান সফলতায় থানা ভিত্তিক অপরাধীদের তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনতে ত্বরিত পদক্ষেপ নেয়া হবে। বসিলা, টঙ্গি, মুন্সীগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ এলাকাসহ অলি গলিতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোর কমিটির সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদাবক্স চৌধুরী প্রমূখ।

আরও পড়ুন- চব্বিশের শিক্ষায় পঁচিশকে স্বার্থক করুন

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রাসঙ্গিক ‘আমাদের কথা’ লেখার আগে কিছু সময়ের জন্য মতিঝিল ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন  এলাকায়, পেশাগত কাজে ঘুরতে ফিরতে প্রাপ্ত জনমতকে প্রাধান্য দিতে, সম্পাদকের  পর্যালোচনান্তে সম্মানিত পাঠকের অবগতির জন্য তুলে ধরছি। পরিচয় না বলার শর্তে প্রাপ্ত জনমত ভিত্তিক আমাদের নিয়মিত সম্পাদকীয় আজকের এই কলামে, সাধারন জনগণের মতামতের ব্যাখ্যা না থাকলেও তারা গনমাধ্যমে ও সামাজিক মাধ্যমসহ পত্রপত্রিকা সূত্রে প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনুস, উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়ার বক্তব্য ও কোর কমিটির সিদ্ধান্ত এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রমুখের বক্তব্যে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি ঘুরে ফিরে একই সূত্রে প্রকাশ পাওয়ায় এবং রোজাকে সামনে রেখে জনগণের নিরাপত্তা বিধানে ও মা-বোনের সম্ভ্রম রক্ষায়; ত্বরিত সভা অনুষ্ঠিত করে, জোরদার অভিযানের ‘বিষয়টি’ প্রচারে গুরুত্ব পাওয়ায় জনগণ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এখন তাঁদের চাওয়া ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। কোন কিছুতেই যেন জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট না হয়।

পরিশেষে, ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত গণপ্রহরীতে বাড়ির গেটে রোজা খাদ্য সামগ্রীর নিশ্চয়তা আবশ্যক’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যাবলিতে উল্লেখিত সাধারন মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করে, ‘টিসিবি’তে পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাজার দর নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যস্ফীতি রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে সরকারের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি। সকল রাজনৈতিক দল ও প্রশাসন আন্তরিকভাবে বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিবেন এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন- এ আশাবাদ গণপ্রহরীর। আমাদের বিশ্বাস, জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে উদ্যোগ নিলে জনগণ স্বস্তিতে থাকবেন এবং কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হবে। সকলেই সুস্থ্য থাকুন ও আমাদের নিয়মিত কলামটি বিবেচনায় নিন এবং অনুগ্রহপূর্বক পরামর্শমূলক গণপ্রহরীর ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *