Thu. Mar 27th, 2025
ধনীদের হাতে প্রায় ৬০ শতাংশ সম্পদছবি : সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ধনীদের হাতে প্রায় ৬০ শতাংশ সম্পদ উল্লেখ করে ‘অর্থনীতি পুনগঠন এবং ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সম্পদ সংগ্রহ বিষয়ক টাস্কফোর্সের’ সদস্য ড. রুমানা হক বলেছেন, “দেশে আয়বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে আর ধনীরা আরও বেশি আয় করছে। আয়বৈষম্য কমানোর জন্য সরকারকে গ্রামীণ অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তার উপরে জোর দিতে হবে”।

২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি (সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ) আয়োজিত ‘অর্থনীতির পুনর্গঠন ও সুপারিশসমূহ’ বিষয়ক টাস্কফোর্সের সুপারিশের ওপর সম্মেলনে গবেষণাপত্র উপস্থাপনের সময় এসব কথা বলেছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, “অবকাঠামো বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ শহুরে অঞ্চলগুলোকে প্রাথমিকভাবে উপকৃত করেছে, যেখানে ৮৫ শতাংশ কর্মী বাহিনী কম মজুরি, অরক্ষিত চাকরিতে রয়ে গেছেন। গ্রামীণ এলাকায় নিম্নমানের শিক্ষা ঊর্ধ্বমুখী গতিশীলতাকে সীমিত করে, যেখানে ভ্যাট নিম্ন আয়ের গোষ্ঠীর ওপর অসমভাবে বোঝা চাপায়”।

তিনি আরও বলেছেন, “জনসংখ্যার শীর্ষ ১০ শতাংশ মানুষ মোট সম্পদের ৫৮.৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে, যেখানে নিচের ৫০ শতাংশের হাতে মাত্র ৪.৮ শতাংশ রয়েছে”।

আয়বৈষম্য মোকাবিলায় ড. রুমানা হক সম্পদ ও উত্তরাধিকারের ওপর প্রগতিশীল কর আরোপের আহ্বান জানান, তার পাশাপাশি কর ফাঁকিরোধ করার জন্য ও সম্পদ কেন্দ্রীকরণ কমানোর জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন।

তাছাড়া, “সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর জন্য বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ সমর্থনের জন্য মানসম্মত শিক্ষা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সম্প্রসারণের গুরুত্বের ওপরও জোর দেন”।

সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, দারিদ্র্য বিমোচনের চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করে একটি ক্লাস্টারভিত্তিক পদ্ধতি গ্রহন করা আবশ্যক। তিনি জোর দেন “সরকারি কর্মসূচি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কাঠামোগত কাঠামোর প্রয়োজনীয়তার ওপর”।

ধনীদের হাতে প্রায় ৬০ শতাংশ সম্পদ

শারমীন এস মুরশিদ তরুণ-যুবকদের জন্য অর্থ, বীজ ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা খাত পুনর্গঠনের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন।

রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান ড. এমএ রাজ্জাক বলেছেন, “সামাজিক সুরক্ষা উদ্যোগগুলো প্রায়শই সত্যিকারের দরিদ্রদের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়”।

তিনি বলেছেন, “২০২৫ অর্থবছরে সামাজিক সুরক্ষা ব্যয় অনুমান করা হয়েছে, জিডিপির ২.৫ শতাংশ এবং বাজেটের ১৭ শতাংশ। অপ্রাসঙ্গিক কর্মসূচি বাদ দিলে এটি জিডিপির ১.২ শতাংশ এবং বাজেটের মাত্র ৭ শতাংশে নেমে আসে”।

আরও পড়ুন- দেশ ও জনগণের স্বার্থে তর্ক-বিতর্ক নয়- তারেক রহমান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *