Thu. Mar 27th, 2025
বাড়ির গেটে রোজা খাদ্যসামগ্রীর নিশ্চয়তা আবশ্যকবাড়ির গেটে রোজা খাদ্যসামগ্রীর নিশ্চয়তা আবশ্যক। ফাইল ছবি

গণপ্রহরী রিপোর্ট: বাড়ির গেটে রোজা খাদ্যসামগ্রীর নিশ্চয়তা আবশ্যক। নিম্ন আয়ের, দিন হাজিরার ও অস্থায়ী শ্রমজীবি-কর্মজীবি মানুষহ নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষ ও বেকার-যুবব্যক্তি পবিত্র মাহে রমজানের রোজা পালনে নুন্যতম ইফতারি সামগ্রীসহ অন্তত: দু’ বেলা খাবারের নিশ্চয়তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। কারণ, একদিকে সিণ্ডিকেটের দৌরাত্মে বাজারদর অনিয়ন্ত্রিত। অপরদিকে খাদ্যসামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীর চলমান বাজারদরে অনেককে একবেলা খাবার নিশ্চিত করাই দুরুহ। শ্রম-ঘামে অর্জিত অর্থে দু’বেলা খাবার জোগাড় করা অনিশ্চিত। দুশ্চিন্তাগ্রস্থ মানুষের অপেক্ষা বাড়ির গেটে রোজা। ক’দিন না যেতেই বাড়ির গেট পার হয়ে ঘরের দরজায় উপস্থিত হবে। তাই সময় থাকতে খাদ্যসামগ্রীর নিশ্চয়তা আবাশ্যক। যা এ মুহুর্তে সরকারকেই করতে হবে। এবং সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলসমূহের ভূমিকা অপরিহার্য।

উল্লেখিত, সাধারণ মানুষের আক্ষেপের শেষ নেই। পতিত স্বৈরাচারের আমলেও স্বৈরাচার ও তার দোসররা দ্রব্যমূল্য কমাতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং নির্লজ্জভাবে বলেছে সিণ্ডিকেট আছে; যা দমন করা যাচ্ছে না। সরকার বিরোধীরা সভা-সমাবেশে দ্রব্যমূল্যের কথা বললেও প্রধান ছিল তত্ববধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন। তবে স্বৈরাচার পতনের পর এ নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য নেই। যতটা আছে ভোট (নির্বাচন) নিয়ে। অনেক আশা আকাঙ্খার অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকলেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। মূল্যস্ফীতি ওঠা-নামার মধ্যেই। অথচ বাড়ির গেটে রোজা খাদ্যসামগ্রীর নিশ্চয়তা আবশ্যক মর্মে সাধারণ মানুষের চাওয়া হচ্ছে রাজধানী থেকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত চাহিদা মোতাবেক সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার সাধ্যের মধ্যে এমন দাম নির্ধারণ করে সরবরাহ নিশ্চিত করা। এবং বেকার-কর্মহীনদের রোজা বিবেচনায় নিয়ে খাদ্যকর্মসূচির আওতায় তাঁদের জীবিকা নিশ্চিত করা।

সাধারণ জনগণ অবগত যে, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার নিশ্চিত ব্যবস্থা করার দাযিত্ব সরকারের। বর্তমান সরকার অন্তর্বর্তী সরকার হেতু রাজনৈতিক দলসমূহকে সরকারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বিশেষত পবিত্র মাহে রমজানের রোজা পালনের সহায়তায় সম্মিলিতভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন। যাতে ভারত হোক আর পতিত স্বৈরাচার হোক প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে থাকা তাদের প্রেতাআত্মারা যেন ষড়যন্ত্র করে জনজীবনে কোনো দুর্ভোগ সৃষ্টি করতে না পারে। সময় থাকতে ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী। জনমতে উল্লেখ্য, বাড়ির গেটে রোজা খাদ্য সামগ্রীর নিশ্চয়তা আবশ্যক। তবে তা দান খয়রাতে নয়, ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নির্ধারিত দামে খাদ্যসামগ্রীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার ব্যবস্থার সাথে বেকার-কর্মহীনদের কর্মের বিনিময়ে এসব প্রাপ্তির নিশ্চয়তা কাম্য। কর্মের বিনিময়ে জীবন-জীবিকা নিশ্চিত ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক।

অন্যথায় জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হবে। ক্ষোভ থেকে আন্দোলন দানা বাঁধতে পারে। ভারতের ভূমিকা ও আওয়ামীলীগের ষড়যন্ত্রের কারণে জনগণ নীরবতা পালন করছেন মাত্র। তাই সময় থাকতেই খাদ্যসামগ্রীর ও কর্মের নিশ্চয়তা বিধানই উত্তম।

আরও পড়ুন- গণঅভ্যূত্থানের ফসল সরকারের সময়কালেও কেন দ্রব্যমূল্যে অস্থিরতা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *